মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২০ অপরাহ্ন
বেনাপোল প্রতিনিধি : দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট সরকারী নির্দেশনা মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে সমগ্র দেশ লকডাউন হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই হাটটি। এদিকে দেশের এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গত ১০ মে থেকে সীমিত আকারে ব্যবসা-বাণিজ্য চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (১২ মে ) থেকে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক, বাজার এলাকায় পর্যাপ্ত জীবাণূনাশক স্প্রে ছিটানোসহ সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করেই খুলে দেওয়া হয়েছে হাটটি। যেখানে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন করতে হাত ধোয়ার বিষয়টিরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সকলকে করোনা পরিস্থিতিতে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় বাজার শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট। সপ্তাহে দুইদিন শনি ও মঙ্গলবার এখান থেকে ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় হয় এসব পশু।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কবির বলেন, আমরা করোনা পরিস্থিতিতে পেটের দায়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরু ছাগল কিনেছি। বেচার জায়গার অভাবে আমাদের অনেক লস হয়েছে। আমরা হাট বাজার থেকে দশটা দেখে একটা কিনবো-বেচবো, তাহলেই আমাদের সংসার চলবে। এই বাজারে এসেছি, সমস্ত সরকারী নিয়ম মেনেই আমরা কেনা-বেচা করছি।
বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ইয়াকূব হোসেন বলেন,করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে হলে এবং দেহের পুষ্টির জন্য দুধ, ডিম ও মাংসের কোন বিকল্প নাই। মাংসের যোগান দেওয়ার জন্যই মূলত: স্বল্প পরিসরে এই বাজারের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
বাজারের ইজারাদার নাজমুল হাসান বলেন, বাজারটি আমরা এক বছরের জন্য সরকারীভাবে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে ডেকে এনেছি। যার প্রতি হাট হিসাবে সরকারকে দেওয়া লাগে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। আমরা সরকারের প্রতি আস্থাশীল হয়ে এই দেড়মাস যাবৎ পশু হাটটি বন্ধ রেখেছি। আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। তারপরেও এই করোনাকালে সকলের ভাল হয় তাই করব। তবে আমরা সরকারের কাছে দাবি রাখি, আমাদের এই ক্ষতিটা যেন পুশিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পাই।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাসুমা আখতার বলেন, পশু হাটটিতে ভেটেনারি সার্জন এর নের্তৃত্বে এখানে আমরা নিয়মিত পশুর মনিটরিং করে যাচ্ছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী পশু হাটটি খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা বাজারে আসবে তাদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও সরকারের সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে। বাজার কমিটি সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার পরিচালনা করবে।