বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

ফুলবাড়ীতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ সচেতনতার বালাই নেই

 অমর চাঁদ গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিন দিন বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আক্রান্তের সংখ্যা। প্রথম দিকে শুধু বাহিরে থেকে আসা মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও এখন শহর ছেড়ে কোথাও যায়নি এমন ব্যক্তিরাও করোনা শনাক্ত হচ্ছেন। তবুও বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির। স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর অবস্থানে থাকতে বলা হলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিরব। মাইকিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুর হোসেন জানিয়েছেন উপজেলায় এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলার পৌরশহরের কাঁটাবাড়ীতে একজন, পূর্ব গৌরীপাড়ায় একজন, প্রফেসরপাড়ায় একজন, দৌলতপুর ইউনিয়নে চারজন, আলাদীপুর ইউনিয়নে তিনজন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসহসহ তার স্ত্রী এবং ফুলবাড়ীর বাহিরের দুইজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে একজন নারীসহ তিনজন সুস্থ হয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাইপাড়া গ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম দিকে শুধু ফুলবাড়ীর বাহিরে থেকে আসা লোকজনের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। কিন্তু এখন যারা শনাক্ত হচ্ছেন তাদের কোন ট্রাভেল হিস্টোরী (ভ্রমণকাহিনী) নেই। তারা স্থানীয়ভাবেই সংক্রমিত হয়েছেন।

পৌরবাজারসহ আশপাশের হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু দিকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও এখন মানুষের মাঝে কমেছে সচেতনতা। প্রায় বেশিরভাগ মানুষের মুখেই নেই মাস্ক। যদিও কারো কারো মুখে থাকলেও তারা নাক-মুখের নিচে নামিয়ে রাখছেন সুরক্ষা মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব দূরে ঠেলে গাদাগাদি করা হচ্ছে বিভিন্ন দোকানপাটসহ, মাহিন্দ্র ও ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানে। পুরো শহর থাকছে এখন লোকে-লোকারণ্য। আর গ্রামের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে মানুষের সচেতনতা আরও কম। মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

এদিকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিকাল ৪টার পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিলেও মানছে না কেউ। ফলে রাত ৮ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খোলা থাকছে। এসব এলাকায় জনসমাগম ঘটছে নিত্যদিন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। অহেতুক বাড়ী থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: