শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন

অনলাইনে সংবাদ প্রচারে সতর্ক হতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন মিডিয়াগুলোতে সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করা হয়। অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়। এসব সংবাদ প্রচারের আগে কোনো সম্পাদনা করা হয় না। এটি বড় বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংবাদ নিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। গণমাধ্যমের গাণিতিক বিকাশের কারণে এসব সমস্যা হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সতর্ক না হলে নাসিরনগর, রামুর মতো ঘটনা বার বার ঘটবে। এসব আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নিউজ পোর্টাল এনএএনটিভি বিডির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ বছরে যত হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সবগুলোর পেছনে অনলাইন, ভুয়া নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী।

বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলেও এ ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে। গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এই কাজ তারা করতে পারবে না, করতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে বুদ্ধি দেয় তারা এখন কোথায়। কাউকে ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়। বরিশালে একজনকে ঘুষি মেরেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে, গুলশানে একজনকে ধাওয়া করেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে। তারা এখন কোথায়। এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, ওনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন, জনগণ তাদের খুঁজছে। ওনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে? নাকি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন। গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় ওনারা কোনো বিবৃতি দেন নাই। শুধু বাংলাদেশেও নয়, এখন কিছু কিছু আন্তর্জাতিক বিবৃতিজীবীও আছে। এখন ওনারা কোথায়?

অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের উদ্দেশ্য সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, ওর মায়ের জন্য দরদ নাই ও দেশের প্রতি কী দরদ দেখাবে? ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। আগামী নয়-দশ বছর পর আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখব বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম যারা আছে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ব্রিটেনেরও প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই যোগ্যতা ও দক্ষতা তাদের আছে। এই যোগ্যতা কী তারেক রহমানেরও আছে। ইতিহাসে দুটি জিনিস থাকে, একটা হচ্ছে নায়ক আরেকটা হচ্ছে খলনায়ক। নায়ক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম আর খলনায়ক হচ্ছে তারেক রহমান। সে খলনায়ক হিসেবে ‘পারফেক্ট’ ব্যক্তি।

এনএএন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিহা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশের ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির ট্রেজারার তানভির হায়দার ভূইয়া প্রমুখ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: