শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

১৯ বছর পর ধর্ষণ মামলার রায়!

নিউজ ডেস্ক :: কক্সবাজারে ২০০১ সালে দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর ছয় মাস পর গতকাল মঙ্গলবার রায় হয়েছে। এতে প্রধান অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মোসলেহ্ উদ্দিন। একই সঙ্গে আসামির ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। মামলায় ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এত দিন জামিনে থাকলেও রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নুরুল হুদা (৪২) কক্সবাজার সদর উপজেলার মধ্যম নাপিতখালী এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। সারাদেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের লাগাম টানতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ সংশোধনী অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের দিনে কক্সবাজারে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম সিকদার বলেন, মামলায় বাদী, ভিকটিম, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয় জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষীদের সাক্ষ্যে আসামি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।

মামলার এজাহারের বিষয়ে পিপি জানান, ২০০১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে বাদীর আঙ্গিনা থেকে মেয়ে জোসনাকে (১৪) (ছন্দনাম) অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে নুরুল হুদাকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঐ সময়ে আদালত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে কক্সবাজার সদর থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে কক্সবাজার মডেল থানা। মডেল থানাপুলিশের এসআই সোলাইমান চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করে ২০০১ সালের ১৭ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠন করে ছয় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দেয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: