শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

মেয়রের আশ্বাসে অনশন তুলে নিলেন রায়হানের মা

সিলেট প্রতিনিধি :: ছেলে রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের ফাঁসির দাবিতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রোববার সকালে আমরণ অনশনে বসেন পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রায়হানের চাচা, চাচি, মামা, খালা ও আত্মীয়স্বজনসহ আখালিয়া এলাকাবাসী।

রবিবার সকাল ১১ টা থেকে চলমান এই অনশন বিকেল সাড়ের ৪টার দিকে হঠাৎ রূপ নেয় তীব্র আন্দোলনে। রায়হানের পরিবারের সদস্যরা এবং আখালিয়া এলাকার বাসিন্দারা ব্ন্দরবাজার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনস্থলে ছুটে আসেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রায়হানের মাকে সান্তনা দিয়ে জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান মেয়র আরিফ। পরে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে অবরোধ তুলে দেন।

এর আগে সকাল ১১টায় রায়হানের মা, পরিবারের সদস্যরা ও আখালিয়া এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে অনশনে বসেন এবং বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। রায়হানের মা-কে ‘আমার ছেলে কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ স্লোগান লেখা ফেস্টুন হাতে বসে থাকতে দেখা যায়।

অন্যদের হাতে থাকা ফেস্টুন লেখা- ‘বোন বলে ডাকবে কে? আমার ভাইকে ফিরিয়ে দে’ ও ‘ফাঁসি দিয়ে প্রমাণ করো, পুলিশ নয়-জনগণ বড়’ ইত্যাদি স্লোগান। অনশনরত রায়হানের পরিবারের সদস্যদের মাথায় কাফনের কাপড় (সাদা কাপড়) বেঁধে রাখতে দেখা যায়।

এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রশাসন বলেছেন তারা চেষ্টা করছেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আকবরকে গ্রেফতার করা হবে। আমি সিলেটের মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নগরীর পাঁচ লক্ষ মানুষের পক্ষ থেকে কথা বলছি। আমরা নগরবাসী একমত। রায়হানের মায়ের সাথে সমগ্র নগরবাসী এবং দেশবাসী রয়েছেন। আমরা আরেকজন রায়হানের মা হতে দিব না।

উল্লেখ্য, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই আমরণ অনশন করেন নিহত রায়হানের মা। রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে রায়হানের মা সালমা বেগম আমরণ অনশন শুরু করেন।

এসময় রায়হান আহমদ মা বলেন, আমি যেখানে আমার আদরের ধনকে হারিয়েছি, সেখানেই আমরণ অনশন শুরু করছি। আকবর গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।

সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে করেন, রায়হান নিহতের ঘটনায় বরখাস্তকৃত ৮ পুলিশ সদস্যকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। নিহতের ১৪ দিন হলেও কেন ঘটনার মূল হোতা এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।

এদিকে রোববার সকালে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের নিহত রায়হান হত্যার ঘটনায় শেখ সাইদুর নামে আরেকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম।

পিবিআই এর একটি সূত্র জানায়, রায়হানকে আটকের আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারি ছিলেন শেখ সাইদুর রহমান। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা অভিযোগকারী আরেকজন রনি শেখ আত্মগোপনে। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: