শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

যুক্তরাজ্যকে নিরাপদ রাখা ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সামনে পাঁচ চ্যালেঞ্জ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়েছে যুক্তরাজ্য। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে, ব্রেক্সিটের পরে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে পারে দেশটি। বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তেমন পাঁচটি বিষয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি করা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার মানে হলো, এখন ব্রিটেন ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে।

দর-কষাকষির শর্তের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ সম্মত হওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কোন একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর পর সেটাকে বাস্তবে রূপ দিতে এ বছরের শেষ নাগাদ বেশ কয়েক মাস লেগে যাবে।

ব্রিটিশ সরকার পণ্যের ওপর ‘শূন্য শুল্ক, শূন্য কোটা’ চুক্তি করার ব্যাপারে কথা বলছে, যেখানে সীমান্ত কর, রপ্তানি ও আমদানির কোন সীমা থাকবে না। কিন্তু সুচারুভাবে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে হলে অনেকগুলো বিষয় নিয়েই সমঝোতা হতে হবে, যার মধ্যে আছে সেবা খাত, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সেবা, খাবার ও পানীয় শিল্প এবং বিনোদনের মতো অনেকগুলো বিষয়।

২০২০ সালের মধ্যে যদি কোন চুক্তি সম্পন্ন করা সম্ভব না হয়, তাহলে যুক্তরাজ্য-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে নতুন করে একটি টানাপোড়েন শুরু হবে।

যুক্তরাজ্যকে নিরাপদ রাখা
এগারো মাসের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হলে যুক্তরাজ্যকে অবশ্যই নিরাপত্তা প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার জন্য সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে।

যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা একমত যে, ব্রেক্সিট উত্তর সময়ে এ রকম একটি বিষয়ে একমত হওয়া কঠিন হবে। যেমন ইউরোপ জুড়ে সংগঠিত বড় অপরাধের ব্যাপারে যে সংস্থা তদন্ত সমন্বয় করে, সেই ইউরোপেলের ওপর এর মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ পুলিশ কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত ইইউ সিস্টেম ব্যবহার করে বিদেশি নাগরিকদের অতীতের অপরাধের রেকর্ড সম্পর্কে জানতে পারে অথবা ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের সম্পর্কে পুরো মহাদেশ জুড়ে সতর্ক বার্তা জারি করতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই তথ্য পাওয়া যুক্তরাজ্যের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে তথ্য বিনিময় না করার ব্যাপারে ইউনিয়নের অনেক দেশের নির্দিষ্ট আইন রয়েছে।

তবে সরকার আশা করছে, ইউরোপিয়ান অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট পদ্ধতি থেকে এত দিন যুক্তরাজ্য যেরকম সুবিধা পেয়ে আসছে, একই রকম সুবিধা পেতে একটি আইন জারি করবে। ফলে ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি না হলেও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অন্য দেশে বিচারের জন্য পাঠানো যাবে।

খাবারের চালান অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করা
খামার থেকে শুরু করে মাছ ধরা, উৎপাদন থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত খাদ্য ও পানীয় শিল্প থেকে বছরে ৪৬০ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে যোগ হয়। এই শিল্পে কাজ করেন ৪০ লাখ মানুষ। এখন প্রশ্ন, অন্তর্বর্তীকালীন সময় শেষ হওয়ার পর খাদ্য ও পানীয় গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানোর জটিল প্রক্রিয়ায় কী ঘটবে?

এই শিল্পের প্রতি তিনজনের একজন এসেছেন যুক্তরাজ্যের বাইরে থেকে। অনেকেই পূর্ব ইউরোপের নাগরিক। অভিবাসীদের জন্য দেওয়া ন্যূনতম বেতনের বিষয়টি চালু করার মাধ্যমে তাদের এখানে আসা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তখন কী হবে?

বিশ্বে নতুন ভূমিকা তৈরি করা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পরে বিশ্বে যুক্তরাজ্যের অবস্থান তৈরি করতে হলে ব্রিটিশ সরকারকে অনেক কাজ করতে হবে। সরকারের স্লোগান, ‘গ্লোবাল ব্রিটেন’ বা বৈশ্বিক ব্রিটেন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে মন্ত্রীদের। তাদের একটি স্বাধীন বিদেশ নীতি তৈরি করতে হবে।

পররাষ্ট্রনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ থেকে বেরিয়ে কীভাবে ক্রমে শক্তিশালী হয়ে ওঠা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা হবে।

প্রমাণ করা যে, সব যুক্তিতর্ক ঠিক ছিল
ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়া বা থাকার বিতর্কের অবসান ঘটেছে, তখনো কিছু ভোটার বিশ্বাস করেন যে, যুক্তরাজ্য বোকামির পথে যাত্রা করছে। তবে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা রয়েছে যে, এই বছরের শেষের মধ্যে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট একটি বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করতে পারে কিনা। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পক্ষে চ্যালেঞ্জ হলো বেক্সিট প্রশ্নে জনসাধারণকে দেখানো যে সমস্ত বাধা ও যুক্তি প্রকৃতপক্ষে মূল্যবান ছিল। কিন্তু সেটা সহজ হবে না।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: