শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

রোগাক্রান্ত পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ দিয়ে ৫০ এর কাজ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যা ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় রুপান্তর করেছে বর্তমান সরকার এলাকার সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য অথচ উপজেলার সেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি হয়ে পড়েছে রোগাক্রান্ত । রোগীদের রোগ সাড়ানোর জায়গায় নতুন যে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়া আশংঙ্কা রয়েছে ব্যাপক ভাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে সামনে গেটটির পরে দেখা যায় সামনে নানা ফুলের ও ওষুধিগাছের বাগান লাগিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান । যা দেখতে খুব সুন্দর লাগলেও পাশেই মসজিদের পায়খানা থেকে ক্ষণে ক্ষণে বাতাসে আসে পায়খানা প্রসাবখানার ময়লা গন্ধ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ভিতরে গিয়ে দেখা যায়,জরুরী বিভাগের সামনে বারান্দায় গ্রিলের ভিতর জরুরী বিভাগের ব্যবহৃত ওষুধ সামগ্রীর ময়লা ও বিভিন্ন রক্তে মাখা গজসহ আর্বজনা ফেলা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির সিড়িতে গিয়ে দেখা গেলো গোয়ালঘরের খড় ছড়ানো ছিটানো সিড়ির উপর বালু, বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা রোগী ও রোগী স্বজনদের পায়ে পায়ে ছুটছে । একতালার ছাদের কোনা গুলোতে অস্থায়ী ডাস্টবিন এর বদলে ব্যবহার করছে কর্তব্যরত নার্স ও কর্মচারীগণসহ রোগীর স্বজনেরা।

পুরুষ ও নারী দুটি বিভাগে বিভক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টির নারী বিভাগে গিয়ে একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনদের নিকট জানা যায়,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে সাধারণত একটু গন্ধ থাকে তবে এতো নয় এখানকার ময়লা আর্বজনা গুলো বেলা ১২ টার আগে সাড়ানো হয় না যার কারণে ময়লা গুলো পচতে শুরু করে এরপর গন্ধ সৃষ্টি হলে রোগী ও রোগীর স্বজনদের শাররিক ভাবে ক্ষতি করে। আর রোগীদের জন্য ব্যবহারকৃত টয়লেট ও বাথরুম গুলো পশুদের জন্য উপযুগি নয় বলে দাবী করেন । তারা আরো বলেন ইটপাথরে উপরের চক চক ভিতরে গিয়ে থাকা অসম্ভব । এ গুলো ঠিক মতো পরিস্কার যেমন করা হয় না তেমনি নানা সমস্যায় জর্জড়িত। পুরুষ বিভাগের টয়লেট বাথরুম গুলোর আরো বেহাল দশা । রোগী ও রোগী স্বজনদের পায়ের সিড়ি হতে আসার বালু টয়লেট গুলোতে কাদায় পরিণত হয় এরপরেও এগুলো ঠিক মতো পরিস্কার করা হয় না। যার ফলে টয়লেটের দূর্গন্ধ আসে রোগীদের বেডসহ গোটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ।

গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও পলাশবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আঃ সোবহান সরকার বিচ্চু বলেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নিজেস্ব অবস্থা উন্নত হলেও আজ সেটা নিজেই একপ্রকার রোগাক্রান্ত। এখানকার কর্মকর্তাদের রুচি আজ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। যেখানে তারা সব সময় থাকে সেই জায়গা যদি অপরিস্কার থাকে তাহলে তারা অন্যসব দায়িত্ব যে কি পালন করেন তার আর বলার ভাষা রাখে না। তিনি আরো বলেন,এখানে চিকিৎসা প্রদানের সকল যন্ত্রপাতি ওটি রয়েছে তার পরে সামান্য কাটা ছেড়া রোগী গুলোকে সহ অন্যান্য রোগী গুলো আসার সাথে সাথে কোন চিকিৎসা না দিয়ে সোজা রংপুরে রেফার্ড করেন। আর এসব কর্মকর্তাদের বললেই তারা দায়সাড়া কথা বলেন জনবল সংকট। পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির দিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া প্রয়োজন । এ ক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা সিভিল সার্জন,জেলা প্রশাসকের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসাসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সামনে সব সময় বসবাস করা মানুষ গুলো প্রতিবেদক কে গিরে নানা ধরণের অভিযোগ জানান। তারা বলেন ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নত হলেও এক শয্যা স্বাস্থ্য সেবা সেখানে বৃদ্ধিপায়নি বরং আরো সেবার মান কমছে জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে। এখানে যে কোন রোগী আসলে রেফার্ড করেন চিকিৎসকগণ এতে নানা ধরণের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও রোগী স্বজনদের করোনাকালে এ চিত্র আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় একজন চিকিৎসক বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিয়ে রোগীদের যেমন রোগীদের অভিযোগের অন্ত নেই তেমনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অপরিস্কার থাকে সেটা নতুন নয়। এতে পরিস্কার ভাবে বোঝা যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই এক প্রকার রোগাক্রান্ত।

এবিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আনিছুর রহমান বলেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি ৩২ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার কাজ যেখানে ২০ শয্যার জনবল সংকট নিয়ে দীর্ঘদিন হলো চলছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যার কারণে নানা ধরণের সমস্য হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনায়। রোগীরা সেবা পায়না এটা সঠিক নয় আমরা করোনাকালে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রোগীদের সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

পৌর মেয়র জননেতা গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব বলেন, উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষের জন্য এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে মানুষ আর যাবে কোথায় ,আর বলবে কাকে । এ দায় সরকারের নয় এ দায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এমন চিত্র এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ।তিনিও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: