বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

আগামী সপ্তাহ থেকে দুই মাধ্যমেই চলবে উচ্চ আদালত

নিউজ ডেস্ক : আগামী সপ্তাহ থেকে ভার্চুয়াল ও শারীরিক উপস্থিতি- দুই মাধ্যমেই চলবে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল ফুলকোর্ট সভায় বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকেল তিনটা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। তবে এর আগে শারীরিক উপস্থিতিতে ২২ থেকে ২৩টি নিয়মিত বেঞ্চের পাশাপাশি কিছু ভার্চুয়াল বেঞ্চ গঠন করে দেবেন প্রধান বিচারপতি।

সভাসূত্র আরও জানায়, ভার্চুয়াল ফুলকোর্ট সভায় যুক্ত হওয়া বিচারপতিদের একটি অংশ শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় শুধু ভার্চুয়াল মাধ্যমেই আদালত পরিচালনায় মত দেন যুক্ত হওয়া বিচারপতিদের আরেকটি অংশ। পরে শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত বেঞ্চ গঠনের পাশাপাশি ভার্চুয়াল বেঞ্চ রাখারও সিদ্ধান্ত হয় সভা থেকে। এছাড়া সভায় ২০২০ সালের বাকি অবকাশকালীন ছুটি কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন অধিকাংশ বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি।

এর আগে গত ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে অবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সুপ্রিম কোর্টের বাৎসরিক ছুটিসহ সব আদালতের ডিসেম্বরের ছুটি বাতিলের দাবিও জানানো হয় ওই প্রস্তাবে।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গত ২৫ মার্চ সবশেষ দেশের উচ্চ ও অধস্তন আদালতে নিয়মিত বিচারকাজ পরিচালনা করা হয়। পরদিন থেকে দেশের সব আদালতে বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরে অবশ্য বিশেষ পরিস্থিতিতে আইন সংশোধন করে ১১ মে থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে ভার্চুয়াল আদালতকে শুধুমাত্র জামিন ও জরুরি বিষয় শুনানির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছিল। ফলে আইনজীবীসহ বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই নিয়মিত আদালতে বিচারকাজ চালুর দাবি জানানো হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও গত মাসের শুরুতে সংসদে নিয়মিত আদালতে বিচারকাজ শুরুর বিষয়ে তাগিদ দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জুলাই থেকে সমকালে ভার্চুয়াল আদালতের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে ‘করোনাকালে বিচার বিভাগ’ শিরোনামে ৫ পর্বের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ৩০ জুলাই রাতে অধস্তন আদালতে নিয়মিত বিচারকাজ চালুর ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: