রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

ব্যারিস্টার মইনুলের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো শোক বার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মইনুল হোসেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তার জুনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম মারা যাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা জামে মসজিদে প্রথম জানাজা, বাদ যোহর সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হবে। মইনুল হোসেন স্ত্রী,পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করেন।

মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বাকশাল প্রচলন করলে তিনি তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: