রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ-১ আসনে বহিরাগতদের নিয়ে সংকিত ভোটা – সেলিম

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ-১ আসনের একজন প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের নিরুৎসাহিত করছে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য বলে অভিযোগ তুলেছেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আহমেদ।

তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও সুনামগঞ্জ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আশংকা নিয়ে তিনি আরও জানান, তারা বলছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সিলেট থেকে ২-৩ হাজার সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী আসবে তারা নির্বাচনী বিভিন্ন ক্যাম্প ও ভোট কেন্দ্র দখল করে নিবে অথবা ৫০-৬০ কেন্দ্র দখল করে এক-দেড় লাখ ভোট নিয়ে নিবে যাবে সুতরাং ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে লাভ নেই আর ভোট দিলেও পরের দিন রেজাল্ট তারা পেয়ে যাবে।

এতে করে ভোটারগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যদি ভোট দেয়ার পর কোন কাজেই না আসে তাহলে ভোটারগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা/ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃংখলা ও মতবিনিময় সভার পর এই কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, এমনিতেই হাওর এলাকার মা, খালা, বাবা চাচা ভাই বোনদেরকে দুর্গম এলাকা থেকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হয় কষ্ট করে যেখানে সরকার নির্বাচন কমিশন ও আমরা ভোটারদের ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত করছে সেখানে একজন প্রার্থী এমন প্রচারণার বিরুদ্ধে কাউন্টার প্রচারনা করা ও নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে জনপ্রিয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জান মাল নিরাপত্তার ও সুষ্ঠ নির্বাচনে বাঁধা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছি।

স্বতন্ত্র এই প্রার্থী আরো জানান, নির্বাচনে এমপি তার সরকারী কোনো সুযোগ সুবিধা গ্রহন করতে পারে না যতটুকু আমি জানি। বর্তমান দুই এমপির মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আরেক জন প্রার্থী না হয়েও বিভিন্ন জনের পক্ষ নিচ্ছেন তিনিসহ তার স্বামী সকালে একজনের বিকেলে আরেক জনের পক্ষ নিয়ে খেলা দেখাচ্ছেন। এ কারণে তিনি এমপি হিসাবে যে গ্রহন যোগ্যতা তা নষ্ট করে ফেলেছেন।

ভোটারাও তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছেন আর হয়ত তারা কোনো ভাবে ভেনিফিসারী হয়ে কোনো প্রার্থীর পক্ষ তিনি নিয়েছেন। এতে করে আমার কোনো প্রভাব ফেলবে না বরং ভাল হয়েছে। আমার কোনো বড় বড় নেতা নেই বড় বড় নেতা নিয়েও চলি না আমি সাধারণ মানুষের দুগোরায় যাচ্ছি তাদের সাথে কথা বলছি তাদেরকে আমাকে জানার সুযোগ দিচ্ছি তাদেরকেউ আমাকে জানার সুযোগ দিচ্ছে। আমি নির্বাচনের আগে যেমন ছিলাম নির্বাচনের পরও সেই রখম থাকতে চাই। ভোটাররা বিষয়টি পজেটিভ হিসাবে দেখছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: