সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লায় সিএনজি চালককে জবাই করে হত্যার দায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড

আবদুল মান্নান, কুমিল্লা প্রতিনিধি : ২০১৪ সালে কুমিল্লায় সিএনজি চালক মো. নাজমুল হাসান (১৪) কে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জবাই করে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬) ও মৃত আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া (২০) এবং একই উপজেলার নয় কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেন এর ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৮)। এছাড়াও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আবুল বাশার (৩৮)। মামলার বিবরণে জানাজায়- ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে ভিকটিম মো. নাজমুল হাসান সিএনজি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়ে ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করার একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন লোক মারফতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে দেখতে পায় তাঁর ছেলে নাজমুলকে জবাই করে সিএনজিটি নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নিহত পিতা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন মধ্যমতলা গ্রামের মৃত আবিদ আলীর ছেলে মো. আবদুর রব (৪৮) বাদী হয়ে আসামি মো. সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করিলে তারা ফৌ. কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তৎপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্তপূর্বক এসআই মো. নজরুল ইসলাম আসামি মো. সুমন মিয়া, শিহাব মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ০৮ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-১০৮)।

তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষে মানিত ১৭জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি আবুল বাশার ও মো. সুমন মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা ক্রমে আসামি মো. সুমন মিয়া, মো. শিহাব মিয়া ও মো. সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. সুমন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি মো. শিহাব মিয়া অনুপস্থিত ছিলেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন এবং আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন রায়ে কপি হাতে পেয়ে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপিল করবো। ২০১৪ সালে কুমিল্লায় সিএনজি চালক মো. নাজমুল হাসান (১৪) কে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জবাই করে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬) ও মৃত আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া (২০) এবং একই উপজেলার নয় কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেন এর ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৮)। এছাড়াও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার মৃৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আবুল বাশার (৩৮)। মামলার বিবরণে জানাজায়- ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে ভিকটিম মো. নাজমুল হাসান সিএনজি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়ে ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করার একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন লোক মারফতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে দেখতে পায় তাঁর ছেলে নাজমুলকে জবাই করে সিএনজিটি নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নিহত পিতা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন মধ্যমতলা গ্রামের মৃত আবিদ আলীর ছেলে মো. আবদুর রব (৪৮) বাদী হয়ে আসামি মো. সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করিলে তারা ফৌ. কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তৎপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্তপূর্বক এসআই মো. নজরুল ইসলাম আসামি মো. সুমন মিয়া, শিহাব মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ০৮ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-১০৮)। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষে মানিত ১৭জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি আবুল বাশার ও মো. সুমন মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা ক্রমে আসামি মো. সুমন মিয়া, মো. শিহাব মিয়া ও মো. সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. সুমন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি মো. শিহাব মিয়া অনুপস্থিত ছিলেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন এবং আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন রায়ে কপি হাতে পেয়ে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: