বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন

হাতীবান্ধায় বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি :: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতার তালিকা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার ৭নং ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে স্বামী জীবিত থাকার পড়েও বিধবা ভাতা তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করে টাকা আত্মসাৎ করায় সত্যিকারে স্বামী মরা বিধবারা এই ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আর তাই নড়ে চড়ে বসেছেন অভিযুক্তরা। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন কুট কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

অভিযোগে উল্লেখ আছে যে, ৭নংডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের (২০১৯-২০২০) অর্থ বছরের বিধাব ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতায় যাদের নাম অন্তর্ভক্ত রয়েছে, তাদের বেশির ভাগ নীতিমালা বর্হিভুত ব্যক্তি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান তার

পছন্দের লোকজন দিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত ইউনিয়ন সমাজকর্মীর সাথে আতাত করে এ অপকর্ম করেছেন।
বিধবা ভাতা ভোগীর নামের তালিকায় যে সব নাম রয়েছে তার বেশির ভাগের স্বামী জীবিত আছেন। অনেকের পারিবারিক স্বচ্ছলতা রয়েছে, এরপরেও তালিকা ভুক্তরা টাকা উত্তলোন করে আত্মসাৎ করেছেন। তালিকা ভুক্তদের মধ্যে ওই ইউনিয়নের ৯নংওয়ার্ডে সব চেয়ে বেশী অনিয়ম করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগকারী স্থানীয় বাসিন্দা কালাম বলেন, মেম্বার চেয়ারম্যান টাকা নিয়ে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার নাম দিয়েছেন তার বেশির ভাগই নিয়ম বর্হিভুত।তাই আমরা সমাজকল্যান মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ, জেলা প্রশাসক, দূর্নীতি দমন

কমিশন, উপ-পরিচালক সমাজ সেবা ও হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে ডাউবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, এসব নাম আমি দেইনি চেয়ারম্যান আর মহিলা সদস্যরা দিয়েছে। তারা টাকা পাওয়ার পর আমি বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক কায়েদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

হাতীবান্ধা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, বিধবা ভাতার যোগ্য নয় এমন কিছু নাম ইউনিয়ন পরিষদ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা পরে জানতে পেরেছি। এটি দ্রুত সংশোধন করা হবে। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: