বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

কফি চাষ হচ্ছে মধুপুর গড়ে

নিউজ ডেস্ক :: টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হচ্ছে কফির।উপজেলার মহিষমারা গ্রামের সানোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন এ কফি বাগান। গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত শাখা-প্রশাখায় কফিতে ভরপুর।প্রতিদিন তার কফি বাগান দেখতে ভিড় করছেন শত শত লোকজন। তারাও কফি চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, চা-কফি খাওয়ার নেশা থেকেই বান্দরবানের রায়খালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে ২০০ চারা কিনে আনেন মধুপুরের মহিষমারা গ্রামের সানোয়ার হোসেন। দুই বছর পর গেল বছর অল্প কিছু ফল আসে। কিন্তু এবার গাছগুলো ফলে ভরপুর। পাকতেও শুরু করেছে ফল। বর্তমানে বাগানটিতে বিভিন্ন ফল ফসলের পাশাপাশি ৪৫০টি কফি গাছ রয়েছে। এছাড়াও অন্য আরেক কৃষকের জমি বর্গা নিয়ে আরও ২০০টি কফির চারা রোপণ করেছেন তিনি।

সানোয়ার হোসেন জানান, প্রতি গাছে দুই কেজির মতো ফল পাওয়া যায়। তা শুকিয়ে প্রায় ২৫০ গ্রাম পাওয়া যায়। তবে যন্ত্রের অভাবে কফির প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ কফি প্রক্রিয়াজাতকরণের যন্ত্র প্রদান করলে পাহাড়ি অঞ্চলে কফি চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে।

কফি বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থী রফিকুল, লতিফ তালুকদার, শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেকেই বলেন, তারা কফি চাষি সানোয়ারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে কফি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
এদিকে করোনাকালীন সময়ে সানোয়ারের কফি বাগানে কাজ করে কর্মসংস্থান হয়েছেন অনেকের।

কফি চাষের বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহ্সানুল বাশার বলেন, মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযোগী। কফি চাষের জন্য কৃষকদের প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। পাহাড়ি অঞ্চলে কফি চাষ সম্প্রসারিত হলে কমে আসবে আমদানি নির্ভরতা। সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: