বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন

সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতাও

নিউজ ডেস্ক :: করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা। রাজধানীর গণপরিবহন, শপিংমল ও কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অধিকাংশ মানুষ। মাস্ক না পরার বিষয়ে অনেকেই দেখাচ্ছেন নানা রকম অজুহাত।

সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ অন্যান্য পাইকারি বাজারগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। অথচ এসব বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষই নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি মানেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতনতাও নেই তাদের মাঝে। ফলে মাস্ক না পরেই গা ঘেষাঘেষি করেই বাজারে চলাফেরা করছে মানুষ। একই অবস্থা গণপরিবহন ও শপিংমলগুলোতেও। তরুণ থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী কিংবা বয়স্ক স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে সবার মাঝে।

এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিভাগ জেলা প্রশাসনকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও এখনো চোখে পড়ছে না তেমন কোনো কার্যক্রম। করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত। করতে প্রশাসনকে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গতবছর ৮ মার্চ। সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের উপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে আবার শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। মার্চের শুরু থেকে তা আবার ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এবং গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের তিন মাস পর ১৮ জুন তা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এক মাস পর ১৮ জুলাই শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখে। এর পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হয় এক মাস নয় দিনে, ২৬ অগাস্ট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় ৩ লাখ। ৪ লাখ ছাড়িয়ে যায় এর দুই মাস পর, ২৬ অক্টোবর। তা পাঁচ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে ৫৫ দিন। ২০ ডিসেম্বর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭১৩ জনে।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন ঢাকার পাঁচ হাসপাতাল থেকে টিকা দেয়া হয় ৫০০ জনকে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: