শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

উজিরপুরে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি কাছে স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি চাইলে এক নারী

উজিরপুর বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস (৬৫) এর নোংরামি ফাঁস হয়েছে। স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃত আদায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসহায় এক নারী। এ প্রভাবশালী নেতার লালসা শিকার হয়ে কলেজ পড়ুয়া যুবতী মেয়েকে দীর্ঘ ১০ বছর লোক চক্ষুর অন্তরালে রেখে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের অভিনয় করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে অবশেষে বিবাহ করতে বাধ্য হন বলে ভুক্তভোগী নারী জানান ।

নির্যাতিত অসহায় ঐ যুবতী (লতা ছদ্মনাম ) জানান , তার বাড়ি উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের জামবড়ি গ্রামে , আর অভিযুক্ত সুনিল কুমার বিশ্বাসের বাড়ি পাশের গ্রাম হারতায়। তিনি ( সুনিল কুমার বিশ্বাস ) ২০১২ সালে লতা কলেজে পড়াশোনা করার সুবাদে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ২০১৫ সালে বরিশালে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০১৭ সালে তার গর্ভে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তার বর্তমানে বয়স ৭ বছর। এদিকে দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসায় তিনি যেন কোন কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না।

তাকে বার বার অনুরোধ করা সত্যেও প্রকাশ্যে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে নারাজ সুনিল। কেননা তার বড় স্ত্রী ও সন্তানরা রয়েছে এবং সমাজে ছোট হওয়ার ভয়তে। এ নিয়ে প্রায়ই চলতো স্বামী- স্ত্রীর দ্বন্দ্ব । শত প্রতিকুলতার মাঝেও (লতা )তার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে আইন বিভাগের পড়াশোনা শেষ করেন। এদিকে প্রায়ই ঘড় ভাড়া ও পরিবারের খরচা- খরচ নিয়ে চলতো দুজনের মধ্যে ঝামেলা।

কোন উপায় না পেয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক নামে খ্যাত আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারির শরণাপন্ন হন।

এতে সুনিল কুমার বিশ্বাস আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দেওয়ার আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানিতে তার আবেদনটি খারিজ করে দেয় আদালত ।

ঐ অসহায় নারী লতা, সন্তান নিয়ে গত ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে হারতায় সুনিল কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে টেনে হিচরে বের করে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি ( লতা ছদ্মনাম ) আরো জানান এ ছাড়া ও সুনীলের আরো অনেক নোংরামির তথ্য প্রমাণ রয়েছে, প্রয়োজনে ফাঁস করে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ দিকে অভিযুক্ত সুনিল কুমার বিশ্বাস প্রথমে সাংবাদিকদের কাছে বিবাহের কথা অস্বীকার করলেও পরে বিবাহিত স্ত্রী হিসেবে তাকে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। তবে সন্তান তার নয়। তবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ করে পারলে সন্তানদের গ্রহন করবেন বলে জানান।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: