রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

করোনাকালীন উদ্বেগ দূর করতে যোগব্যায়াম

নিউজ ডেস্ক :: বর্তমান বিশ্বে করোনাভাইরাসের আক্রমণ মহামারী রূপ ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে কয়েক লাখ লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েক কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভয়াবহতা আর দেখা যায় নাই। দীর্ঘদিন ধরে ঘরে আবদ্ধ থাকার কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্ক মানুষের মানসিক শক্তি ধ্বংস করে। এর ফলে মানুষের শরীর ও মনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মানসিক শক্তি ও শারীরিক যোগ্যতা অর্জন খুবই জরুরি। শরীর ও মনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে যোগব্যায়ামের বিকল্প নেই। একমাত্র যোগব্যায়ামই মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। প্রতিদিন সকাল বা সন্ধ্যায় নিয়মিত যোগব্যায়াম করে মানুষ শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে সুস্থ রাখতে পারে।

এই কঠিন পরিস্থিতিতে মন শান্ত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যেমন বর্তমান সময়কে মেনে নেয়া যায়, তেমনি সুস্থ থাকার বিষয়টিও সহজ হয়।

এ জন্য বেছে নিতে পারেন যোগব্যায়াম। কেননা শরীর ও মন সুস্থ রাখতে প্রাচীনকাল থেকেই যোগব্যায়াম বা ইয়োগা বেশ জনপ্রিয়।

নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে শুধু শরীর ও মন সুস্থই রাখে না- ওজন কমে, শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি যোগব্যায়ামের দারুণ প্রভাব আছে মনের ওপর। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে যোগব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকর। তাই প্রতিদিনের কর্মতালিকায় যোগব্যায়াম রাখার মাধ্যমে মন এবং শরীরকে শক্তিশালী করে আপনি করানোভাইরাসের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারেন।

নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা অনেকটা রুখে দেওয়া সম্ভব।
করোনার এই সময়ে যোগব্যায়াম কিভাবে মানুষের উপকারে আসতে পারে তা নিয়ে এক প্রবন্ধে দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর রাসা নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। যাতে তিনি বলেছেন-

‘আমরা যে কোনো ব্যায়ামই নিয়মিত করতে পারি। একান্ত কিছুই যদি সম্ভব না হয়, তবে ছোটবেলায় স্কুলে যে পি.টি. করতেন সেই পি.টি. নিজে করুন এবং পরিবারের সদস্যদের পি.টি. করতে উৎসাহিত করুন। যে কোনো যুদ্ধে জয়ী হতে হলে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক শক্তি খুবই দরকার। যোগব্যায়াম একমাত্র ব্যায়াম যা একই সঙ্গে শরীর ও মন গঠন করে।

ব-দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিজ্ঞান হচ্ছে যোগব্যায়াম। হাজার হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলের মানুষ নীরোগ শরীর ও সুস্থ মন গঠনের জন্য নিয়মিত যোগাসন অনুশীলন করে চলছে। যোগব্যায়ামে শরীরের অতিরিক্ত ক্ষয় হয় না, ফলে অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। বাংলার এই যোগভ্যাস দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে অনুশীলিত হচ্ছে শত শত বছর ধরে।

যোগ শব্দের উৎপত্তি সংস্কৃত ভাষায় ‘যুজ’ ধাতু থেকে। এর বুৎপত্তিগত অর্থ হল বন্ধন করা, যুক্ত করা, উন্নতি করা শব্দটা বহুভাবব্যাপী। একটি অর্থ মিলিত করা বা মিলিত হওয়ার চিন্তাধারায় সমস্ত কিছুরই মূল হলে পরমাত্মা ((Universal Spirit) আর আমরা মানুষেরা সেই পরমাত্মার অংশ জীবাত্মা (Individual Spirit)। যোগে রয়েছে সেই পথেরই নির্দেশ, যে পথে অগ্রসর হলে জীবাত্মার মিলন ঘটে।

আমি যোগাসনের কাছে ঋণী। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি যোগানুশীলন করে আসছি। যোগাভ্যাস দ্বারা আমি আমার দেহের টিউমারগুলো বিনাশ করেছি, ফুসফুসের ত্রুটি থেকে মুক্ত হয়েছি। সড়ক দুর্ঘটনার আমার পায়ের স্বাভাবিকত্ব নষ্ট হয়েছিল তা ভালো করেছি এবং পক্ককেশসমূহের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ করেছি যে কেশসমূহ ধীরে ধীরে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে পোকায় পড়ে যাওয়া একাধিক দাঁত এখন গজাচ্ছে। যোগাভ্যাসের ফলে কখনই মনে পড়ে না যে আমার বয়স পঞ্চাশের বেশি।

প্রতিদিন আহার করতে আমরা যেমন বাধ্য হই তেমনি আমরা যেন প্রতিদিন ব্যায়ামে নিজেকে বাধ্য করতে পারি। এর ফলে দুরারোগ্য রোগগুলো হতে নিজেকে রক্ষা করতে পারি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত। আর ঔষধ নির্ভর জীবন থেকে নিজেকে রাখতে পারি মুক্ত। যোগব্যায়াম মানুষকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে, দায়িত্ববান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। একটি সুস্থ জাতি গঠনের জন্য পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় গ্রামে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ব্যায়ামাগার গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।

যোগব্যায়াম বা যোগাসন সম্বন্ধে কতগুলো প্রয়োজনীয় বিষয় রয়েছে। যোগব্যায়াম আবালবৃদ্ধবনিতা প্রত্যেকে অভ্যাস করতে পারেন। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বয়সানুপাতে কার কেন যোগব্যায়াম করা উচিত তা কোনো একজন অভিজ্ঞ যোগব্যায়াম শিক্ষকের নিকট পরামর্শ নিয়ে করা উচিত। যদি যোগব্যায়াম কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে বাড়িতে বসে অভ্যাস করলেও হবে। বাড়িতে যোগব্যায়াম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাঝে মাঝে অভিজ্ঞ শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। যোগব্যায়াম সকালের দিকে করলেই ভালো হয়। যাদের পক্ষে সকালের দিকে সম্ভব নয় তারা সারাদিনের মধ্যে কোনো একটা নির্দিষ্ট অবসরে তা করতে পারেন। তবে প্রত্যহ একই সময় করবেন। সকালের দিকে সময় না হলে সন্ধ্যার দিকে এমনকি রাত ৮-৯টার দিকেও যোগাব্যায়াম করা যায়। দুপুরে যোগাব্যায়াম নিষিদ্ধ।

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে সারাদিনের ক্লান্তি ও অবসাদ নিয়ে আসন অভ্যাস করা কি উচিত? যোগব্যায়াম করার সময় রক্তচলাচল মস্তিস্কে থেকে সমস্ত শরীরে প্রবাহিত হয়ে শরীরকে অবসাদমুক্ত ও সতেজ করে তোলে। স্নানাহার প্রভৃতি দৈনন্দিন ক্রিয়াকর্মের মত যোগব্যায়ামকেও দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাস করে নেওয়া উচিত। সপ্তাহে কয়দিন আসন করা উচিত এ বিষয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও আমার মতে সাতদিনই অন্তত: মিনিট পনের করে আসন করা প্রয়োজন। প্রথম প্রথম হয়তো অসুবিধা হবে কিন্তু স্নান-আহার প্রভৃতি প্রাত্যহিক কর্মের মতো তা করে নিলে অভ্যাস হয়ে যাবে। সাধারণত অসুখ-বিসুখের সময় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন সময় যোগ ব্যায়াম ৬/৭ দিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন। যোগব্যায়াম করাকালীন পরিধান যতদূর সম্ভব ঢিলেঢালা হলেই ভাল হয়। মেয়েরা অবস্থা ও আসন অনুযায়ী সুবিধামত পোশাক পরবেন। যোগব্যায়াম খোলা জায়গায় বা খোলা ঘরে ধীর স্থির ভাবে করবেন। খুব নরম বা শক্ত কোনো কিছুর উপর যোগব্যায়াম করবেন না। মেঝের উপর একটা শতরঞ্জি বা ওই জাতীয় কিছু পেতে যোগব্যায়াম করাই শ্রেয়। একদম খালিপেটে বা খুব ভরাপেটে যোগব্যায়াম করবেন না। হাল্কা কিছু খেয়ে যোগব্যায়াম করবেন। তবে পূর্ণ আহারের দুই বা তিন ঘন্টার মধ্যে যোগব্যায়াম করা উচিত নয়। কিন্তু হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য বজ্রাসন এবং অনিদ্রা নিবারণের জন্য রাত্রে আহারান্তে শয্যায় বসে গোমুখাসন অভ্যাস করতে পারেন। ব্যায়াম শেষ করার অন্তত ১০/১৫ মিনিট বসে অর্থাৎ শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হওয়ার পর দৈনন্দিন কাজকর্মে মনোনিবেশ করুন। যে কোনো আসন তিন বা চারবার ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময় দিয়ে করবেন এবং প্রত্যেকটি আসন করার পর একবার করে শবাসনে বিশ্রাম নেবেন।

এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখবেন, যে আসন যতক্ষণ সময় দিয়ে আসন করবেন, শবাসনও ঠিক ততক্ষণ সময় দিয়ে করবেন। আসন করার সময় শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ ও স্বাভাবিক রাখবেন এবং এ সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের ওপর কোনো কর্তৃত্বই করা চলবে না। অবশ্য মুদ্রা, ধৌতি ও প্রাণায়ামে ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাপারে নিয়ম অনুযায়ী অভ্যাস করবেন।

তবে উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, করোনারি থ্রম্বসিস, এঞ্জাইনা পেক্টোরালিস, মায়োকার্ডিয়াল ইনফকেশন, সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, স্পিড ডিস্ক এবং চোখের কোনো কঠিন অসুখে (রেটিনা হ্যামারেজ) ভুগছেন প্রভৃতি এমন রোগীর সামনে ঝোঁকা যেমন- পদহস্তাসন, পশ্চিম উত্তোসন, সার্বঙ্গাসন, হলাসন, শীর্ষাসন, শশঙ্গাসন যোগমুদ্রা বিপরীতকরণী মুদ্রা প্রভৃতি আসন-মুদ্রা অভ্যাস করবেন না। গ্যাসস্ট্রিক, ডিয়োডেনাম ও পেপটিক আলসারের রোগীর পেটের অভ্যন্তরে সরাসরি চাপ পড়ে, যেমন- ময়ুরাসন, যোগমুদ্রা, উড্ডীয়ান, জানুশিরাসন, পশ্চিমোতাসন প্রভৃতি আসন ও বা মুদ্রাসন অভ্যাস করবেন না। টি.বি. প্লুরিসি জন্ডিস প্রভৃতি রোগ সম্পূর্ণ নিরায়ম না হওয়া পর্যন্ত কোনোরকম আসন বা মুদ্রা করা উচিত নয়। বাত ও বাতজনিত কোনো ব্যাথা থাকাকালীন উক্ত স্থানে ফোলা থাকলে আসন অভ্যাস না করা শ্রেয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ও আনুষাঙ্গিক চিকিৎসা দ্বারা ব্যথা ফেলা কমিয়ে আসন অভ্যাস করবেন দ্রুত। ৪০ উর্দ্ধ যাদের বয়স, অথচ কোনোদিন কোনোরূপ ব্যায়াম বা খেলাধুলা করেননি তাদের অনুশীলনের শুরুতেই সামনে ঝোঁকা কোনো কঠিন আসন করা উচিত নয়।

যোগাসনই করতে হবে এমন কথা নয়। যে কোনো ধরনের ব্যায়াম যা আপনার ভালো লাগে তাই নিয়মিত অনুশীলন করুন। যদি আপনি নিজেকে গতিশীল ও সুস্থ রাখতে চান তবে নিয়মিত যোগব্যায়ামের বিকল্প নেই।’

এবার জেনে নেওয়া যাক যোগব্যায়াম সম্পর্কে-
প্রাণায়াম
সোজা হয়ে বসে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস নিন। একইভাবে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ বার প্রাণায়াম করতে পারেন। এই ব্যায়াম মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া করোনা সংক্রমিত হলে ফুসফুসের সমস্যা প্রকট হয়। এ কারণে চিকিৎসকরা এই সময় ফুসফুসের ব্যায়াম করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

উত্তরাসন
উত্তরাসন পদ্ধতিতে ব্যায়ামের জন্য প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এবার শরীরের ওপর দিকটি নীচে ঝুঁকে হাত দিয়ে পায়ের পেছনে স্পর্শ করতে হবে। ৫ সেকেন্ড এভাবে
থেকে আবার সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এভাবে প্রতিদিন ৫ বার উত্তরাসন পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। এছাড়া মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।

মেডিটেশন
মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। মেডিটেশনে মন অনেক বেশি ইতিবাচক হয়। আত্মবিশ্বাস ও স্থিরতা ফিরে আসে। নিয়মিত মেডিটেশন করা এই সময়ের জন্য খুবই জরুরি। কেননা শরীরের মতো মনের যত্ন নেওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকেই বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মন শান্ত রেখে স্বাভাবিকভাবেই পাড়ি দিতে হবে এই কঠিন পরিস্থিতি।

অফিসের কাজ বা পড়াশোনার জন্য যাদের দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হয় তারা প্রায়শই চোখ, ঘাড়, কাঁধ, পিঠ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কথা বলে থাকেন। বিভিন্ন ওষুধ সাময়িকভাবে এসব ব্যথা দূর করলেও তা আবারও ফিরে আসতে পারে। এসব ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আপনি যোগব্যায়াম করতে পারেন

করোনার এই দুঃসময়ে অনেকেই অনিদ্রায় ভুগছেন কিংবা মনে বড় কোনো চাপ অনুভব করছেন। এই পরিস্থিতিতে নিদ্রাহীনতা দূর এবং আপনার মানসিক শান্তি দিতে
পারে যোগব্যায়াম। আপনার প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে দেহের বিশ্রাম এবং হজম প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এই ইয়িন যোগব্যায়াম।

করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন হাঁচি দেয়ার ঘটনা আপনাকে জনসাধারণের মধ্যে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। এ ক্ষেত্রেও যোগব্যায়াম বেশ কার্যকরি। আপনাকে
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে পারে যোগব্যায়াম।

মোটকথা উদ্বেগ দূর করতে, অতিরিক্ত ওজন কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং শক্তিশালী শরীর গঠনে যোগব্যায়ামের বিকল্প নেই।
এসএ/


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: