রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন

সরকারি ত্রাণ বিতরণে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না ইউপি চেয়ারম্যান

 সিরাজগঞ্জ থেকে শুভ কুমার ঘোষ : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম করোনা উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণ জনসমাগম করে অনেকটা হাট বসিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বরং অনেকটা সেই করোনাকেই আমন্ত্রণ জানিয়ে জি.আর এর চাল বিতরণ করেছেন। শুক্রবার (২২ মে) সকালে বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জনসমাগম করে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, পরিষদের বারান্দায় উপচে পরা ভিড়। একজন যেন আরেকজনের উপরে উঠে যাচ্ছেন। দূর থেকে প্রথমে কেও দেখলে সেটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখা কোনো সার্কাস দেখানোর দৃশ্য মনে করে ভূল করতেই পারেন। ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখা যায় করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) এর প্রভাবে কর্মহীন ও দুস্থদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত জি.আর এর চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা হচ্ছে নিতান্তই চেয়ারম্যানের নিজ ইচ্ছানুযায়ী। মানা হচ্ছেনা নিম্ন পরিমান সামাজিক দূরত্বও। উপকার ভোগীদের বেশিরভাগই পড়েননি মাস্ক পর্যন্তও। যার কারনে কেও করোনা আক্রান্ত থাকলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেকেরই।

উল্লেখ্য যে, বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সংলগ্নই সিরাজগঞ্জের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাস্থান। বাগবাটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে অস্থায়ী ভাবে সিরাজগঞ্জের করোনা হসপিটাল হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এবং সিরাজগঞ্জের করোনা আক্রান্ত সকল রোগী এখানেই চিকিৎসা নিচ্ছে। যেখানে সারাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা ফেরা করতে বলা হয়েছে সেখানে করোনা হসপিটালের ২০ গজের মধ্যেই একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন দায়িত্বহীন কাজ করাতে এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনা করে অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন চেয়ারম্যানের মতো একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এবং এই ক্রান্তিলগ্নে এমন কিছু মোটেও আশা করা যায়না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাগবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বার বার চেষ্টা করেছি কিন্তু জনগণ কথা শোনেনা। তাহলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কিভাবে লোকজন কে নিরাপদ দূরত্বে সড়িয়ে দিতে পারলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল মনির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেও পারছিনা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দেয়াও সম্ভব হয়নি।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: