মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে পৌরসভার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও পৌরসভার পুলিশ লাইন হতে মাদরাসা পাড়া মহল্লা পর্যন্ত ১.০৩০ কিঃ মিঃ রাস্তার নির্মার্ণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে যেনতেন ভাবে এ কাজ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালামাল সামগ্রী টেষ্ট করে ব্যবহার করার কথা থাকলেও নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

মুসলিম নগর এলাকার সাইদুর রহমান, জাহান আরা বেগম ও আব্দুল মালেক অভিযোগ করে বলেন, ‘রাস্তার ইমপ্রুভ সাব গ্রেড লেয়ার কমপেশন না করেই সাব-বেসের কাজ করা হয়েছে। বর্ষায় এই রাস্তা টিকবে না, ভারী যানবাহন চললে রাস্তাটি দেবে যাবে বলে মনে করেন তারা।

মুসলিমনগর মহল্লার বাসিন্দা সাকিব হোসেন বলেন, সড়কের যে কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্মমানের। এত নিম্নমানের কাজ এর আগে কখনো দেখেনি। একই কথা বলেন মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন। তারা আরও জানান যে ভাবে কাজ হচ্ছে তা বেশিদিন টিকসই হবে না। সরকারের টাকা পুরোপুরি গচ্ছা যাবে। ঠিকাদারের লোকজনকে নিয়ম মেনে কাজ করার অনুরোধ করা হলেও তারা তা শোনেননি। বরং প্রতিবাদ করায় তাদের কে ভয়ভীতি দেখা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের বালুর সঙ্গে মাটির ব্যবহার, যথাযথ ভাবে পানির ব্যবহার না করে রোলার ছাড়াই কমপেশন করা হয়। এ ছাড়া অর্ধেক বালি অর্ধেক খোয়া ব্যবহারের কথা থাকলেও তা ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্মামানের ইট, বালু ও খোয়া।

নগর অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলতি বছর এপ্রিলে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌরশহরের এই রাস্তার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মেসার্স জুয়েল ইলেক্ট্রনিক্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি এ কাজ করছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর আয়নাল হক বলেন, সাধারণ মানুষ তো টেকনিক্যাল বিষয় গুলো বুঝে না। দরপত্র অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কাজের মান সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনটি পয়েন্টে সমস্যা ছিল। তা ঠিক করে দেয়া হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসন বলেন, দিনাজপুর এলজিইডি থেকে এসে এই কাজের থিস্কনেস্ টেষ্ট করা হয়। সেই থিস্কনেস টেষ্টে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র ফয়সাল আমীন বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা রাস্তার নির্মাণ কাজের নিয়মিত তদারকি করছেন। সিডিউল মোতাবেক কাজ করা না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল প্রদান করা হবে না।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: