রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে ওবায়দুল কাদের বিদ্রোহী প্রার্থী বড় কোনো সমস্যা নয়

এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলের প্রায় ৫১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে টানেলের কাজেও বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। তা না হলে ২০২২ সালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী কোনো সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা ১৫টি ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন। চট্টগ্রামেও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী, তাদের বিষয়টা ঢাকায় গঠিত একটি কমিটি দেখবে। এটি বড় কোনো সমস্যা নয়। ঢাকার সিটি নির্বাচনে এ রকম সমস্যা হয়েছিল। শেষে সমাধানও হয়েছে।’

টানেল পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ।

করোনাভাইরাস এবং কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে কর্মরতরা চীনা নাগরিক। তাদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে ২৯৩ জন চীনের নাগরিক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ৭২ জন তাদের নববর্ষের ছুটিতে চীনে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে ৪৫ জন ফিরে এসেছেন। এ ছাড়া অন্য ২৮ জনের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। অবশিষ্ট ১৭ জন এখনও কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘চীনের নাগরিক, যারা টানেল প্রকল্পে কর্মরত আছেন, তাদের কারণে এখন পর্যন্ত টানেলের নির্মাণ কাজে কোনো ক্ষতি বা সময়ক্ষেপণ হয়নি। কাজ এগিয়ে চলছে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাপারটা অন্যদিকে কিছুটা মোড় নিতে পারে। তবে এটা যতটা পদ্মা সেতুতে হতে পারে, কর্ণফুলী টানেলে ততটা না-ও হতে পারে। কারণ এখানে কর্মরত চীনা নাগরিকের সংখ্যা খুব বেশি নয়।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রকল্পে কাজের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ‘চীনের জিয়াংসু প্রদেশের জেং জিয়াং শহরে টানেল সেগমেন্ট কাস্টিং প্ল্যান্টে সেগমেন্ট নির্মাণের কাজ চলছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: