সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরাজগঞ্জে ইলিশ শিকার

নিউজ ডেস্ক :: প্রজনন মৌসুমে সরকার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও কে শোনে কার কথা! সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরে ইলিশের প্রাচুর্যতায় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে যমুনা জুড়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত অসাধু জেলেরা। এ অবস্থায় কঠোর অবস্থানে থাকা প্রশাসন জেলার ২৯৭ জন অসাধু জেলেকে সাজা দিয়েছে। এদিকে, চলতি মৌসুমে ৩০ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়ায় দেশে অতিরিক্ত ৩৭ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন বাড়বে বলে আশা মৎস্য বিভাগের।

সমুদ্র ও গভীর নদী থেকে শুধু ডিম ছাড়ার জন্যই মা ইলিশগুলো যমুনার মিঠা পানিতে আসে। আর এ সুযোগে নিষেধাজ্ঞা মানছেন না চৌহালী, শাহজাদপুর ও বেলকুচির যমুনা বিধৌত বড়ধুল, বারবালা, স্থল, সদিয়াচাঁদপুর, ঘোরজান, উমারপুর, কৈজুরী, সোনাতনী, গালা, খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের জেলেরা।

বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে চৌহালী পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার যমুনা নদীর মধ্যে ইলিশ প্রজননের প্রধান মোহনা হচ্ছে চৌহালী-শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে চৌহালীতে বেশ জোরালো অভিযান চললেও শাহজাদপুরে ঢিলেঢালা। সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় সংসার চালাতে নদীতে নেমেছেন বলে জানালেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, গরীব মানুষ নদীতে না গেলে সংসার চলে না। সরকার তো কোন কিছু সাহায্য দেয়নি। অভিযান চালাতে প্রশাসনের জনবল সংকটের সুযোগ নিচ্ছে জেলেরা, এমনটা মনে করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের মানুষ।

তারা জানান, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে আইনের আওতায় আনা তার পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। তবু যারা চুরি-চামারি করে ধরতেছে আরও দুই একজন ম্যাজিস্ট্রেট হলে এগুলো থাকবে না। অসাধুদের কঠোরভাবে দমনের পাশাপাশি জেলেদের যথাযথ সহায়তার আওতায় আনার দাবি উপজেলা প্রশাসনের।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফসানা ইয়াসমিন বলেন, যদি হালনাগাদের একটা সুযোগ দেওয়া হয় এবং এর বরাদ্দটা আরও বাড়ানো যায়, তবে তারা হয়তো আর নদীতে নামবে না।

সম্প্রতি নদীতে চলমান অভিযান পরিদর্শন করতে আসেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় উপ-সচিব আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করছি যে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: