শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর পিলার ধাক্কা এড়াতে ঘাট স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: পদ্মাসেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা এড়াতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট কিংবা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট স্থানান্তরের সুপারিশ জানিয়েছে কমিটি। রোববার দুপুরে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলামের কাছে তদন্ত কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম আশিকুজ্জামান নতুন সংবাদকে জানান, পদ্মাসেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে বেশকিছু সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বর্তমান শিমুলিয়াঘাট স্থানান্তর করে কান্দিপাড়ার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাটে ঘাট স্থাপন করা যেতে পারে কিংবা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটকে সরিয়ে মাঝিকান্দি ফেরিঘাট স্থাপন করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান শিমুলিয়াঘাট কিংবা বাংলাবাজার ঘাট স্থানান্তর করার ফলে পদ্মাসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগবে না। ফেরির পদ্মাসেতুর পিলার ঘেষে যেতে হবে না।

তিনি আরও জানান, আরেকটি সুপারিশ হলো, এ নৌপথে দুর্বল, ধীরগতি, চলাচলের অনুপযোগী ফেরি প্রত্যাহার করে দ্রুতগতির ফেরি চালু করা যেতে পারে। আর পদ্মাসেতুর পিলারের পাইল ক্যাপ অংশে রাবারের ফেন্ডার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে অসতর্কতাবশত ফেরির ধাক্কা লাগলেও রাবার সেটি প্রতিহত করতে পারবে। পিলারের কোনো ক্ষতি হবে না।

এদিকে, ইলেকট্রিক সিস্টেম ফেইলের কারণে পিলারে ধাক্কা লাগার কারণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। এস এম আশিকুজ্জামান জানান, পিলারের ধাক্কা লাগার ঘটনায় শাহ জালাল ফেরির মাস্টার মো. আবদুর রহমান ও সুকানি সাইফুল ইসলাম দায়ী। সতর্ক ও দক্ষতার অভাব ছিল তাদের। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তিনি আরও জানান, পানির স্রোত ও ফেরির গতি উভয় মিলে যে গতি নিয়ে ফেরি চলার কথা ছিল সেসময় সেটি হয়নি। যখন তারা এ গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল সেসময় অনেক দেরি হয়ে যায়। ফেরি সেতুর পিলারের কাছে চলে যায়।

ফেরির মাস্টারের উচিত ছিল স্রোতে না এসে অর্থাৎ ১৭ নম্বর পিলারের পথে না এসে আরও আগেই ১২-১৩ নম্বর পিলারের পথ দিয়ে যাওয়া। উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল।

এ কমিটিতে বিআইডাব্লিউটিসি-এর পরিচালক (বাণিজ্যিক) আশিকুজ্জামানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিচালক মো. শাহ জাহান, বিআইডাব্লিউটিসি-এর এজিএম (মেরিন) আহমেদ আলি ও এজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং) রুবেলুজ্জামান।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: