শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন

পঞ্চগড়ে ধোকাবাজি করে মায়ের কাছ থেকে টিপসই নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে ছেলে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :: পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় তোড়িয়া ইউনিয়নের কিসামত দাপ গ্রামের মৃতঃ জুলিয়াস দাস এর স্ত্রী আরতী দাস দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধী। আর সেই অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে চিকিৎসার কথা বলে, আটোয়ারী সাবরেজিস্ট্রার অফিসে নিয়ে এসে টিপসই দিয়ে ৫ শতক জমি নিজের নামে লিখে নেয় তার নিজের ছেলে বিলক্লিনটন। শারীরিক প্রতিবন্ধী আরতী দাসের দুই ছেলে দুই মেয়ে।

অসহায় প্রতিবন্ধী ঔ নারীর মাত্র ৫ শতক জমি ছিল। জমির উপরে আছে পাঁচটি দোকানঘর একটি সাইকেল গ্যারেজ, এতে চলত তার সংসার। স্বামীর বেঁচে থাকতেই বেশ কয়েক বছর পূর্বে একটি হাত অচল হয়ে যায় আরতী দাসের । মুখ দিয়ে ভালোভাবে কথা বলতে পারে না আরতী দাস। জমি মাত্র ৫ শতক আর এই ৫ শতক জমির ভাগীদার চার ছেলে মেয়ে।

আরতী দাস নিজের ছেলেমেয়েদের চিন্তা করে মৃত্যুর আগে ৫ শতক জমি সমানভাবে ভাগ করে দিতে চাই চার জনের মাঝে। আরতী দাসের বড় ছেলে বিলিয়ন দাস সে বলেন ,আমার বাবা ৫ শতক জমি কিনে নেন, এবং মৃত্যুর আগে ৫ শতক জমি আমার মায়ের কাছে দান করে দিয়ে যান। এবং বলেন, চার ছেলে মেয়ের কাছে সমানভাবে ভাগ করে দিতে।

কিন্তু আমার ছোট ভাই বিলক্লিনটন আমার প্রতিবন্ধী মাকে চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে যায়। কৌশলে ৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়,আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই। বড় মেয়ে লিপি দাস বলেন, আমার ভাই বিল ক্লিনটনেৱ সাথে থাকতো আমার মা। কিন্তু আমার মাকে দেখভাল করত না। সাইকেল গ্যারেজ আর দোকানের ভাড়ার টাকায় চলত আমার মার সংসার। আমার বাবা আমার মাকে এই ৫ শতক জমি দান করে দিয়েছে।

এখন এই জমির ভাগীদার আমরাও।আমাদের চার ভাই বোনের মাঝে ৫ শতক জমি সমানভাবে ভাগ করে নিতে চাই । আরতী দাস বলেন, আমার স্বামী, জুলিয়াস দাস বেঁচে থাকতেই আমার একটি হাত অচল হয়ে যায়। আমি ভালভাবে কথা বলতে পারিনা । কয়েক মাস আগে আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। আমার ছোট ছেলে বিলক্লিনটন চিকিৎসার কথা বলে, আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কোথায় নিয়ে যায়, আমি জানিনা।

শুধু এটুকু অনুভব করতে পেরেছি, আমার বুড়ো আঙুল ধরে কোনো এক কাগজের মধ্যে টিপসই নিচ্ছে।কয়েক মাস পরে মানুষের মুখে জানতে পারলাম। আমার ছেলে আমার কাছ থেকে কৌশলে ৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। আমি আমার চার ছেলে মেয়েকে সমানভাবে ভাগ করে দিতে চাই। এ কারণে আমার ছেলে বিলক্লিনটনের নামে কোটে মামলা করেছি, যাতে আমার ৫ শতক জমি আমি ফিরে পাই। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দাবি শারীরিক প্রতিবন্ধী আরতী দাসের যেটুকু সম্পত্তি রয়েছে তা যেন চার ভাইবোনের মাঝে সমান ভাবে বণ্টন করে দিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন করা হয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: