শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুরে পরচুলা ক্যাপ তৈরীতে সাবলম্বি অসচ্ছল পরিবার, সহস্রাধিক পরিবারের কর্মসংস্থান

দিনাজপুর প্রতিনিধি :: দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে টাক মাথায় ব্যাবহার করার জন্য বিশেষ উপায়ে তৈরী হেয়ার ক্যাপ এর কারখানা। গ্রামগঞ্জের অসচ্ছল পরিবারের একাধিক সদস্য এই কারখানাগুলিতে কাজ করে আর্থিক সচ্ছলাতার স্বপ্ন দেখছেন। তাদের মধ্যে নারী পুরুষ সহ অল্পবয়সিরাও কাজ করে সহোযোগিতা করতে পারছেন নিজ পরিবার কে, মাস শেষে পাচ্ছেন মুজুরীর টাকা।

জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী, গরফতু নাগরগঞ্জ, ডাংগার হাট, গোলাপগঞ্জ, খানসামা উপজেলার মেরিট স্কুল এলাকা, নরবলী বটতলা, চেহেলগাজী, পাকেরহাট ও চিরিরবন্দর উপজেলার রানিরবন্দর বাজার সহ অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে হেয়ার ক্যাপ কারখানা। কারখানা গুলিতে গ্রামের মহিলারা একটা বাড়তি আয় করে পরিবারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারতেছে।

বেশ কিছু কারখানা ঘুরে দেখা যায় শতাধিক শ্রমিক বৈদ্যুতিক বাতির নিচে চোখের খুব কাছাকাছি ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি দুরুত্তে একটানা ৮ ঘন্টা কোম্পানি কতৃক সরবরাহ কৃত ফ্রেমে সূচ জাতীয় যন্ত্র দিয়ে মিহি কাপড়ের নেটের প্রতিটি সুক্ষ ছিদ্রপথে চুল প্রবেশ করিয়ে ক্যাপ তৈরী করছে।

বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়ী তে এরকম একটি কারখানা রায়হান হেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এর ব্যাবস্থাপক মোঃ সাজু জানান চীন বাংলাদেশ যৌথ ব্যবস্থায় এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, চীন থেকে কাচামাল এনে এই ক্যাপ তৈরী করা হয় এবং তৈরী হয়ে গেলে তা আবার চীনে রপ্তানি করা হয়। আমাদের কয়েকটি কারখানায় এক হাজারের বেশি কারিগর কাজ করছেন। পাশাপাশি অনেকেই নিজ উদ্যেগেও এরকম কারখানা দিয়ে নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহ নিম্ন আয়ের মানুষের সহজ ইনকামের ব্যাবস্থা করে দিচ্ছেন। কারখানাগুলি চালু হওয়াতে সহস্রাধিক পরিবার উপকৃত হচ্ছে। কারিগররা জনপ্রতি মাসে ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছে। বিদ্যালয়ের শিশুদের দ্বারা কাজ করানো হচ্ছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখন স্কুল গুলিতে ক্লাশ কম তাই তারা কারখানায় আসতেছে স্কুল পুরোদমে চলতে থাকলে তারা আসবে না।

গ্রাম পর্যায়ে বেকার মহিলাদের এমন কাজকর্মের সুযোগ হওয়াতে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন অনেকেই তবে বিদ্যালয় পড়ুয়া শিশু-কিশোর দের এই কাজে সম্পৃক্ততায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন ব্যক্তিরা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: