শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

কমরেড সুবল সরকার আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক :: ১১ মার্চ ২০২২ রাত ২ টায় প্রগতিশীল সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-এমএলএর পোলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড সবুল সরকার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হন এবং হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-এমএলএর সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এএএম ফয়েজ হোসেন, শ্রমজীবি আন্দোলনের আহবায়ক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, মাদারল্যাণ্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভানেত্রী সালেহা ইসলাম শান্তনা, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ অভিবাসী নারী শ্রমিক ফোরামের সভাপতি মাহিনুর আক্তার বৃষ্টি, বাংলাদেশ কিষাণী সভার সভাপতি সামছুন্নাহার খান ডলি, সাধারণ সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতির সভাপতি অমলি কিস্কু ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন এক্কা, গণছায়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোতাহার হোসেন, বাংলাদেশ গ্রামীণ বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক আব্দুল হাই মাস্টার, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম,বাংলাদেশ নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম।

শ্রমজীবি আন্দোলনের আহবায়ক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে কমরেড সুবল সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সুবল সরকারের চলে যাওয়াকে অপ্রত্যাশিত বলে বলেন, আশির দশকের গোড়া থেকে তিনি ছাত্র রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাম রাজনীতির যে দীক্ষা নিয়েছেন তা তিনি মৃত্যু পর্যন্ত মনে প্রাণে লালন করেছেন। কখন লোভ-লালসার বশিভূত হয়ে নীতি-আদর্শচ্যূত হন নি। দেশের কৃষক, কৃষিশ্রমিক ও ভূমিহীন মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ এবং অগ্রসৈনিক। যেখানেই অন্যায়, বঞ্চনা ও অধিকার হরনের ঘটনা ঘটত সেখানেই তিনি প্রতিবাদী হয়ে ছুটে চলে যেতেন তড়িৎ বেগে। তিনি বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির জাতীয় কমিটির সভায় অংশগ্রহণ এর জন্য মাদারীপুর শিবচর উপজেলায় যান।তিনি ছিলেন এক আমৃত্যু সংগ্রামী নেতা। চিরকুমার কমরেড সুবল সরকারের নিঃস্বার্থ রাজনীতি সকলের কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরনীয় হয়ে থাকবে। তাঁরা বলেন, দেশের এমন এক কঠিন সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে যখন তাঁর উপস্থিতিই ছিল একান্ত আবশ্যক। নেতৃবৃন্দ কমরেড সুবল সরকারের মানুষের জন্য নিবেদিত ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তাঁর অকাল মৃত্যুতে দেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষ তাদের একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে হারিয়েছে। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি যা কখনোই পূরণ হবার নয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: