শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

বিএনপির হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান ক‌রে‌ছে: নানক

ঢাকা সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রোববার রাজধানীতের ডাকা বিএনপির হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মন্তব্য করেছেন।তিনি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিএনপির হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান ক‌রে‌ছে। এরপরও যদি তাদের লজ্জা শরম না থাকে…লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে তারা এই নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার না করে তাহলে তাদের দল জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হবে এবং প্রত্যাখ্যাত হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে’।

তিনি বলেন, ‘হরতাল কালচার বাংলার জনগণ বর্জন করেছে। রাস্থাঘাটে যানবাহন সবকিছুই স্বাভাবিক। এর মাধ্যমে প্রমাণ হল বিএনপির যে ভুলের রাজনীতি করে জনগণ সেই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ভুলের রাজনীতির কারণে কিন্তু মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসার যে প্রবণতা তা কমিয়ে দিয়েছে’।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্যও বিএনপিকে দায়ী করেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও তাদের প্রার্থীরা ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয়, এমন ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছেন। বিএনপির আচরণ দেখে মনে হয়েছে, বিএনপি জয়ের জন্য নয়,  বরং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং নির্বাচন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের জন্য অংশগ্রহণ করেছে।

ভোটার দের আগ্রহী করতে ভবিষ্যতে ইভিএম নিয়ে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো এবং স্থানীয় নির্বাচনের সময় গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্তটিও পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানান তিনি।

সিটি নির্বাচনে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে বিএনপির ব্যাপক পরিকল্পনা ছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছিলেন, কিন্তু ভোটের দিন সেটাও দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে নানক বলেন, নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনকালীন সময় বিএনপির সন্ত্রাসী চরিত্র নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকায় তারা কোনো সহিংস ঘটনা ঘটাতে পারেনি।

তিনি দাবি করেন, হরতালের সিদ্ধান্ত বিএনপি নির্বাচনের আগেই নিয়ে রেখেছিল এবং সেই অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যও তৈরি করা ছিল।

বিএনপির অভিযোগ ঢালাও মন্তব্য করে নানক বলেন, তাহলে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন এত ভোট পেল কীভাবে? ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে। এ রকম আরো উদাহরণ আছে। এমনকি তাবিথ আউয়াল কিন্তু অনেক কেন্দ্রে বেশি ভোট পেয়েছে আমাদের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠিনক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পাদক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: