বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই

নিউজ ডেস্ক :: দেশবরেণ্য সাংবাদিক নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খান (৮৭) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের এক মহীরূহ তোয়ার খান।১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম আবদুল ওয়াহাব খান, মাতা মোসাম্মৎ জোবেদা খানম। স্ত্রী হাজেরা খান ডালি। পড়াশোনা করেছেন পিএন হাইস্কুল ও জগন্নাথ কলেজে। দৈনিক সংবাদে পেশাগত জীবন শুরু ১৯৫৫ সালে। দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত। তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের বার্তা সম্পাদক ছিলেন ১৯৬৪ থেকে ১৯৭০ অব্দি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে দৈনিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদকের শুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় এই মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকের ওপর। ১৯৭৩-৭৫ সময়কালে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি। পরে ১৯৮৭-৯১ সময় পরিধিতে আবারও রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। মহাপরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট পরিচালনায় দিয়েছেন সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব। এরশাদ সরকারের পতনের পর আবার দৈনিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ১০ মাস। দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক পদে যোগ দেন ১৯৯৩ সালে। এদেশের সাংবাদিকতায় পত্রিকার গেট আপ, মেক আপ, বিষয় বৈচিত্র্য আনয়ন, ইস্যু শনাক্তকরণ, যথোচিত ট্রিটমেন্ট, সুযোগ্য সম্পাদনার ক্ষেত্রে তিনি আদর্শ। তাকে রোল মডেল মনে করা হয়। সাংবাদিকতা বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দেন দেশে-বিদেশে, অনেকবার।

ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের ৩৪ দেশ। সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার, পদক, সম্মাননা, সংবর্ধনা। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় একুশে পদক, ইন্টারন্যাশনাল হজ হ-তে অন্তর্ভূক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আতাউস সামাদ ট্রাস্ট ফান্ড সম্মাননা, কাজী মাহবুবউল্লাহ-জেবুন্নেসা স্বর্ণপদক আমিন জুয়েলার্স স্বর্ণপদক ইত্যাদি।

অনেক কৃতি সাংবাদিকের শিক্ষাগুরু, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তোয়ার খান বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো, জাতীয় প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: