মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সুবর্ণচরে মানব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ  ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মসুরিয়ায় নামে এক অজ্ঞাত ব্যাক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চাটখিলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

ইসির সঙ্গে মতবিনিময়, নির্বাচনে আস্থা ফেরাতে হবে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে ইসির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কয়েকজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির সচিব কিছু সুপারিশ করেছেন, যা গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।

এসব সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-মাঠ প্রশাসনের ওপর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং তাদের সঙ্গে দূরত্ব কমানো, ইসি ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়সাধন, নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার বাড়ানো, নির্বাচনি অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা প্রভৃতি। এছাড়া তারা বলেছেন, রাজনৈতিক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনেক জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কর্মকর্তা সরকারের কথাই শুনবে; যারা ইসির কথা শুনবে না এবং নির্বাচনে অনিয়ম করবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ইসির হাতে রাখতে হবে। নির্বাচনে জেলা প্রশাসকের পাশাপাশি ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের কথা বলেছেন তারা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আগামী সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠান করা বর্তমান ইসির জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান ইসি এমন একসময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যখন নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি জনমনে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করি, নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনাটাই হবে ইসির প্রথম কাজ। আর তা করতে হলে ইসিকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তাদের কর্মপদ্ধতি ও কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হবে। তবে এটাও ঠিক, একা ইসির পক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। নির্বাচনের সব স্টেকহোল্ডার যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এসব স্টেকহোল্ডার হলো-ইসি, নির্বাচনকালীন সরকার, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সর্বোপরি নির্বাচকমণ্ডলী তথা ভোটার শ্রেণি। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি এই মর্মে ঐকমত্য হয় যে তারা আন্তরিকভাবে ইসিকে সহযোগিতা করবে, তাহলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কঠিন কিছু হবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে বিশেষত সরকারের ভূমিকাই মুখ্য। সরকার যদি ইসিকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করে, তাহলেই সম্ভব একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। ইসির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা যেসব কথা বলেছেন তা ইসি তো বটেই, সরকারও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: