শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

নোয়াখালীতে প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজনন

নোয়াখালীতে প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজনন
ডিজিটাল কৃত্রিম প্রজননের সঠিকতায় গর্ভধারণের হার অনেক বাড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলের চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যাযের কৃত্রিম প্রজনন সেবা কর্মীদের তিনদিনের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণের সুচনা অনুষ্ঠানে এমন্তব্য করা হয়।
এই প্রথম নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার এক নং হরণী ইউনিয়নের বাসিন্দা খামারি নাজিমউদ্দিন এর ফ্রিজিয়ানক্রসের একটি গাভীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজননের কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে এপদ্ধতিতে অপেক্ষাকৃত সঠিকভাবে প্রজনন করানো যায় এবং গর্ভধারণের হার অনেক বাড়ে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজনন ব্যাথামুক্ত ও আরামদায়ক প্রজনন করানো সহজ হয়। ডিজিটাল এ আই গানের মাধ্যমে প্রজনন তন্ত্রের সমস্যা ও চিহ্নিত করা যায়। এছাড়াও ডিজিটাল মনিটরে রেকর্ড করে প্রজনন প্রক্রিয়াটি শেষ করা যায় বলে খামারিরা নিশ্চিত হতে পারেন। খামারি নাজিম তার গাভীকে প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজনন করায় খুবই আনন্দিত হন।

নোয়াখালী জেলার উপ-পরিচালক (কৃত্রিম প্রজনন ) ডাক্তার মো. আব্দুর রহিম ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার কাজী রফিকুজ্জামান সি ডি এস পি প্রকল্পকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম প্রথমবারের মতো সূচনা করায় ধন্যবাদ দেন। তারা মনে করেন বর্তমান সরকারের ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল আর্টিফিশিয়াল ইনসামিনেশন পদ্ধতিটি নোয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুনীর আহমেদের নেতৃত্বে ডিজিটাল এআই কার্যক্রমটি নোয়াখালীতে প্রথমবারের মতো২৯শে ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শুরু হয়।

কৃত্রিম প্রজনন সেবা কর্মী প্রশিক্ষণটি বাস্তবায়নে ব্র্যাক এবং সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা সিডিএসপি প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। ব্র্যাকের কো-অর্ডিনেটর মহসিন উদ্দিন ও সাগরিকা সমাজ উনয়ন সংস্থার কোঅর্ডিনেটর হান্নান মোল্লা মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল প্রজনন কার্যক্রমপ্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন বলে মতামত দেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: