বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ অপরাহ্ন

সকলের তরে সকলে আমরা বনাম ১% Club : আমিনুল ইসলাম মিলন

আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ’পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।

কবি কামিনী রায়-এর এ কবিতাটি স্কুলজীবনে পড়েননি-পঞ্চাশোর্ধ এ রকম লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। কবি তার উক্ত চারটি চরণে মানবতাবাদের এক বিশাল ক্যানভাস এঁকেছেন। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়-এর অন্তর্নিহিত মানবিকতা-শক্তি-দায়দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ। করোনার এই নিদানকালে যার প্রাসঙ্গিকতা বিশ্বব্যাপী সমভাবে প্রযোজ্য।

বাংলাদেশেও করোনা তিন মাস পেরিয়ে চতুর্থ মাসে পদার্পন করলো। দিন দিন অবস্থা ভয়াবহ হচ্ছে। আক্রান্তের হার যেমন বাড়ছে-তেমনি মৃত্যুর সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সীমিত সম্পদে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তা সত্ত্বেও এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। শুধু বাংলাদেশ নয়- মোটামুটি সারা বিশ্বের চিত্রও একই। করোনা কেবল জীবন নিচ্ছে না-করোনা জীবিকার উপরেও হানছে মরণ ছোঁবল। হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়ছে। দিন আনে দিন খায়-মানুষের অবস্থা বড়ই করুণ। ব্রাক ২৩৭১ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, করোনার কারণে ৩৬% লোক চাকরি বা কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। ৩% লোক চাকরি থাকলেও বেতন পাননি। দৈনিক মজুরিভিত্তিতে যারা কাজ করেন-তাদের ৬২% কাজের সুযোগ হারিয়েছেন। সরকার প্রদত্ত ১০ টাকা কেজি চাল ক্রয়ের লাইন দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। করোনা আরো কিছুকাল বহাল থাকলে সামাজিক বিন্যাসে ব্যাপক পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে। বিগত এগারো বছরে দারিদ্র বিমোচনে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্য হুমকির মুখে পড়বে। সরকারি চাকরিজীবী যে পর্যায়েরই হোক, একটু নিরাপদে আছে-কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবীদের অবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চিত।

এ জন্য সরকারের তরফ থেকে করোনায় বিপর্যস্ত মানুষকে চাল-ডাল, নগদ অর্থ-প্রণোদনাসহ বিভন্ন সাহায্য-সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। এছাড়া বিভিন্ন সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান এবং সীমিত আকারে ধনী লোকজন এগিয়ে এলেও সর্বগ্রাসী এ ক্ষুধা ও চাহিদার মোকাবেলায় তা অতি নগণ্য। আমাদের ধনী ব্যক্তিরা এগিয়ে এসেছেন সত্য কিন্তু আমরা একজন রতন টাটা পেলাম না-যিনি বলতে পারেন-প্রয়োজনে সকল বিত্ত-সম্পদ বিক্রি করে করোনাযুদ্ধে শরীক হবো। আমাদের গার্মেন্ট সেক্টরের কথা না-ই বা বললাম। গত প্রায় অর্ধশতক ধরে যাদের Breast Feeding করে গড়ে তোলা হলো-এবারের করোনাসংকটে তাদের আচরণ, মনোভাব ও কার্যক্রম (ব্যতিক্রম বাদে) খুবই হতাশাব্যঞ্জক।

এ সমস্যা সর্বব্যাপী-সর্বগ্রাসী। দিনে দিনে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়বে। গত এগারো বছরে দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারের সাফল্য বড় হুমকির মুখে পড়েছে। এ থেকে নিস্তারে একা সরকারের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। দেশের প্রতিটি লোককেই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেককে খেয়াল করতে হবে-আমার চারপাশের মানুষের অবস্থা কেমন। কে কোন সংকটে আছে। প্রত্যেকে যদি নিজের চারপাশে তাকাই-তাহলেই সম্মিলিতভাবে সারা দেশের দিকে তাকানো হবে। উদ্যোগ নিতে হবে-যাদের ন্যূনতম সামর্থ আছে-তারাও যেন সীমিত পরিসরে অন্যের সহায়তায় এগিয়ে আসে। আপনার উপার্জনের মাত্র ১% বা শতকরা ১টাকা বরাদ্দ করুন তাদের জন্য যারা এ দুর্যোগে বড় অসহায়। করোনা আতঙ্কেও সাথে সাথে দুবেলা অন্ন জোগাড়ের অনিশ্চয়তা যাদের দুর্বল করে তুলেছে। এখন প্রশ্ন-কিভাবে ১% টাকা দিয়ে অন্যকে সহায়তা করা যাবে।

এ সূত্রটি আমাকে শিখিয়েছিলেন, আমার মরহুমা জননী-আজ থেকে ২৫ বছর আগে। একদিন তিনি আমাদের তিনভাইকে ডেকে বললেন, তোমরা সংসার খরচের বাইরে আমার ব্যক্তিগত তহবিলে তোমাদের উপার্জনের সামান্যকিছু টাকা দিবে। আমার ব্যক্তিগত খরচ আছে। আমরা জানতাম, সে টাকা তিনি গরীব-দুখী আত্মীয়-দূরআত্মীয়-পাড়া প্রতিবেশী-ফকির মিচকিনকে দেন। ২০০২ সালের এপ্রিলে মায়ের মৃত্যুর আগপর্যন্ত আমরা এটা অব্যহত রেখেছিলাম। মায়ের মৃত্যুর পরে আমরা সে তহবিলে প্রতিমাসে সাধ্যমত টাকা দেই এবং সে কার্যক্রম এখনো বহাল আছে। সময়ের প্রবাহে আমাদের ভাতিজা-ভাগিনারাও এতে সম্পৃক্ত হয়। এটিকে আমি ১% Club ক্লাব নাম দিয়ে ২০০২ সালের জুলাই থেকে (মায়ের মৃত্যুর পর) আধা-প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেই, এটি এখনো পর্যন্ত আমাদের পরিবারে সীমাবদ্ধ কিন্তু করোনার এই আকালে আমার মনে হয় এটিকে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। আসুন-আমরা কবি কামিনী রায়ের কবিতার চরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’-প্রত্যেকে মোরা পরের তরে-এ বাণীতে উদ্বুদ্ধ হই। প্রত্যেকে নিজস্ব পরিমন্ডলে, সেটা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন ১% Club গড়ে তুলি। এটি সরকারি, আধাসরকারি, শায়ত্বশাসত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা-এনজিওসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গঠন করা যেতে পারে।

তবে এ ক্ষেত্রে ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। মনে রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কেউ সম্মত হলে কেবল তাকেই সদস্য করা যাবে। কোনভাবেই এটি ব্যাধ্যতামূলক কোন বিষয় নয়। যে কেউ ইচ্ছে করলে যে কোন সময়ে এ কার্যক্রম থেকে সরে যেতে পারে। এজন্য কোন জবাবদিহিতাও থাকবে না। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাধীন খাত হিসেবে পরিচালিত হবে, এর কোন Organization expenditure থাকবে না। তবুও যদি কোন খরচ অনিবার্য হয়-তবে তা মোট তহবিলের ৫% এর বেশি কখনোই হতে পারবে না। এ রকম স্বেচ্ছাধীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ আমাদের পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সমমনা ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে। এর কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় চরিত্র থাকবে না। সদস্যসংখ্যা একের অধিক হলেই হবে। ৫/৭/১০/২০ জন বা ততোধিক। প্রতিমাসে নিজেদের আয়ের স্বঘোষিত ১% উক্ত তহবিলে জমা দিবে।

শতকরা ১% দিতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতাও নেই। আপনার মর্জি-আপনি যা দিবেন। মাস শেষে সে অর্থ আপনার চারপাশের কোন এক বা একাধিক অভাবী/সমস্যা-জর্জরিত/অসুস্থ ব্যক্তিকে দেই। একজন উদ্যোগী হলেই এ দায়িত্ব পালন করা যায়। আপনার বাসার গৃহকর্মী জানালো তার সন্তান অসুস্থ-আপনার গাড়িচালক জানালো গ্রামের বাড়িতে তার মা অসুস্থ-শয্যাশায়ী। আপনার অফিসের পিয়ন (অফিস সহায়ক) গুরুতর অসুস্থ, উন্নত চিকিৎসার জন্য তার আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন কিংবা করো সন্তানের শিক্ষা ব্যয় বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আপনার বাড়ির পরিচ্ছন্নকর্মীর খোঁজ নিন। খোঁজ নিন নিরাপত্তা কর্মীদের-প্রতিদিন সকালে যে ছেলেটি পত্রিকা দিয়ে যেতো-তার খোঁজ নিন। সহায়তার হাত প্রসারিত করুন। খোঁজ নিন জানা-শোনা এতিমখানা গুলোর (প্রতিষ্ঠিত বড় বড় এতিমখানা নয়)।

গ্রামাঞ্চলে বা শহরতলীতে অনেক ছোট ছোট এতিমখানা আছে, এ করোনাকালে তাদের কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। করোনার সূচনাক্ষেত্রে যখন লক ডাউন শুরু হয়-শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়-তখন একদিন ফেসবুকে একটি ছবি দেখলাম, একটি এতিমখানার জানালার শিক ধরে ৮/১০ বছরের একটি শিশু করুণভাবে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। যে শিশু সত্যিই এতিম, তার হয়েতো কেউ নেই-যেখানে সে যেতে পারে। অন্যরা হয়তো বাড়ি-ঘরে চলে গিয়েছে। একা একা থাকা নিঃসঙ্গ শিশুর আকাশের পানে নিঃষ্পলক চাহনি-কী যে মর্মবেদনার-যারা সেটা দেখেননি-তাদের বোঝানো যাবে না। মনটা হু হু করে কেঁদে উঠলো। নারানগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার একটি মাদ্রাসা কাম এতিমখানার সুপারিনটেনডেন্টের সাথে পরিচয় আছে। ফোন করলাম, বললেন ভাই-সবাইকে মোটামুটি বাবা-চাচা-মামা-খালুকে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ৮/৯ জনের কেউ নেই। তাদের আমাদের দেখতে হবে। তখন রমজান মাস। সাধ্যমত সহায়তা করলাম। তাই ১% Club সহায়তা সত্যিকার এতিমখানাও দেয়া যেতে পারে। খোঁজ নেয়া যায়-গ্রামের কৃষকদের। করোনার এ দুর্দিনে তারাই সবচেয়ে বড় অসহায়। কৃষি উৎপাদন একবার ব্যহত হলে সমূহ বিপদ।

তাই যে কোন মূল্যে সকলকে কৃষকের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সার, বীজ ও সেচের জন্য কৃষকদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। সম্ভব হলে তাদের অন্যান্য কৃষি উপকরণ কেনায় আর্থিক সহযোগিতা দেয়া যায়। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, এখনো দারিদ্র প্রপীড়িত এদেশে আর্থিক সহায়তা প্রদানের হাজারো ক্ষেত্র রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে, বিশেষ করে চরাঞ্চলে নলকূপ বসানো যেতে পারে। চরম দরিদ্র এলাকায় সেনেটারি লেট্রিন বসানো যায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে-জনকল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করা। যদি কোন ইউনিট তার তহবিল ব্যয় করার মতো উপযুক্ত প্রার্থী বা ক্ষেত্র না পান, তাহলে সে ইউনিট উত্তলিত অর্থ উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রাণ তহবিলে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে বা জাতীয় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করতে পারেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এ তহবিল একসময় বিরাট অংক হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু সুবিধে হচ্ছে প্রতিমাসে এ সামান্য অর্থ প্রদানে কারোরই মাসিক বাজেটে টান পড়বে না, আর এটাতে বাধ্যবাধকতা যেমন নেই-তেমনি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে এমন কোন শর্তও নেই।

এটি হচ্ছে একটি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি। এটাকে কখনোই দান করা বা ছদকা দেয়া বলা যাবে না। এটি অতি ক্ষুদ্র আকারে একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি। কিন্তু অনেক জনের অংশগ্রহণে এটি ব্যাপ্তিলাভ করতে পারে। মোট কথা করোনার কারণে যাদের রোজগার বন্ধ-যার বা যাদের সত্যিকারঅর্থে (বিলাসিতার জন্য নয়) আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন-আপনি তাদের আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারেন। বিশেষ করে করোরার এই দুযোর্গে জীবন-জীবিকা দুটোই মারাত্মক হুমকির মুখে। যত দিন যাবে জীবিকার ক্ষেত্র তত সংকুচিত হবে। এমনিতেই রাজধানী এবং বড় বড় শহর হতে লোকজন গ্রামমুখী হচ্ছে। গ্রামেও চাপ বাড়বে। কিন্তু জীবিকার ক্ষেত্র গ্রামেও সীমাবদ্ধ। তাই এই নিদানকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের উচিত। আমাদের শপথ নিতে হবে-আমরা বাঁচবো-অন্যদেরও বাঁচিয়ে রাখবো-ইনশাআল্লাহ। আসুন-১% Club গঠনে ব্রতী হই। এ ক্লাবের কোন গঠনতন্ত্রও নেই, ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও চলবে।

কেবল থাকতে হবে-সৎ-বিশ্বাসী-নির্ভরযোগ্য-উদ্যমী ব্যক্তি যিনি নিজে দায়িত্বশীল হয়ে এ কাজে এগিয়ে আসবেন। এটি আমরা পারিবাকিভাবে করতে পারি কিম্বা কর্মস্থলেও করতে পারি। সমমনা লোকদের প্রাধান্য দিতে হবে। আপনি একজন গৃহিনী, আপনার ১০/১২ জন বান্ধবী আছেন, প্রতিদিন আপনারা প্রাতঃভ্রমণে যান, আসুন না-আপনারাই একটি ইউনিটি গঠন করুন। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়েন-আপনার বিশাল বন্ধু-বাহিনী। যদিও আপনি রোজগার করেন না-তবুও বাবার দেয়া হাতখরচের টাকা থেকে ১০০/২০০ টাকা দিন। মাসে ২০ জনের ৪০০০ হাজার টাকা হবে। দিন না টাকাটা দুই/চারজন পথশিশুকে। এভাবে মাঠে নামলে অনেক অভাবী লোকজন সামনে পড়বে। আপনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সে বাড়িতে আরো ১০/১২টি ফ্ল্যাট আছে নিশ্চয়ই-গঠন করে ফেলুন একটি ইউনিট-১% Club Alliance Icon Unit, Dhanmondi। সম্প্রসারিত করুন সহায়তার হাত।

এভাবে সবাই যদি এগিয়ে আসি তা হলে করোনার ছোঁবলে বিপর্যস্ত জীবন-জীবিকা কিছুটা রক্ষা পাবে। করোনা বুঝিয়ে দিয়ে গেলো-জীবন কত অনিশ্চিত। হাজার কোটি টাকার মালিকও একটু বাতাসের অভাবে বেঁচে থাকতে পারেননি। শিল্পী যথার্থই গেয়েছিলেন-‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস-দম ফুরাইলে ফুস’। আজকে করোনা বিশ্বাবাসীর ‘দম’ এর উপর আঘাত হেনেছে। প্রাণ ভরে শ্বাস নেবার জন্য লাখ লাখ মানুষ আজ আজ কাতর। তাই আসুন-জীবনের এই কঠিন সময়ে নিজেরাও প্রাণভরে শ্বাস নেই, অন্যদেরও শ্বাস নিতে সহায়তা করি। জীবন যে কতোখানি ভঙ্গুর-কত অনিশ্চিত-কত ঠুনকো-করোনা মানুষকে আবার তা বুঝিয়ে দিলো। তাই উদ্বুদ্ধ হই কবির আহবানে-‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে-iÑBe a proud member of 1% Club-One for hundred-hundreds of one.

আমিনুল ইসলাম মিলন
সাবেক প্রাধন তথ্যকর্মকর্তা
e-mail: aminmilon55@gmail.com


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: