শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

উচ্ছ্বসিত মেট্রোরেলের যাত্রী : ‘১২ মিনিটে বাসায় যাবো এটাই আনন্দের’

‘প্রতিদিন শাপলা চত্বর থেকে অনেক যানজট পেরিয়ে ফার্মগেটে অফিসে যাই। অনেক কষ্ট করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। সকালে বাস না পেলে সিএনজিতে যেতে হয়। এর মধ্যে যানজট তো আছেই। কিন্তু এখন মেট্রোরেলে চলাচল করবো ভোগান্তি ছাড়া, সেটা ভাবতেই আনন্দ লাগছে। আগে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছিল, এখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু হয়েছে। অফিস থেকে ফিরতে যেখানে অনেক সময় লেগে যায়, সেখানে আজ ১২ মিনিটের কম সময়ে বাসায় পৌঁছাতে পারবো, এটা ভাবতেই অনেক ভালো লাগছে।’

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এভাবেই জাগো নিউজের কাছে অনুভূতি ব্যক্ত করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী ফারিহা।

jagonews24

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সচিবালয়, মতিঝিল এলাকায় সবচেয়ে বেশি সরকারি ও বেসরকারি অফিস। ফলে উত্তরা ও মিরপুরে থাকা এসব চাকরিজীবী এই মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। রাজধানীর প্রতিদিনের যে যানজট সেটা থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় মতিঝিল থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও ১০ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে। ট্রেনটি আগারগাঁও পৌঁছায় ৭টা ৫২ মিনিটে। তবে মতিঝিল থেকে যাত্রীসংখ্যা কম দেখা গেলেও উত্তরা ও আগারগাঁও ছেড়ে আসা ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল বেশি। অবরোধ চলায় সাধারণ মানুষের চেয়ে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

তবে প্রথম দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সকালে মতিঝিল স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় টিকিট কাটার মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে। এতে লম্বা লাইনের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

jagonews24

এর আগে শনিবার মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল চালুর মধ্যদিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে চলাচল করতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরা থেকে মতিঝিলের ভাড়া ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু হওয়া নতুন এই রুটে ভাড়া ধরা হয়েছে ৫০ টাকা।

জানা গেছে, তিনটি ধাপে এই মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ করা হয়। তৃতীয় ধাপে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণকাজ চলছে। ২০২৫ সালের জুনে এ অংশের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ অংশের অবকাঠামো নির্মাণের অগ্রগতি ১৭ দশমিত ৩০ শতাংশ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: