শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

৭৪ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাল বার্সা

নিউজ ডেস্ক : যখন দুই পক্ষের ক্লাব সমর্থকদের তর্ক ওঠে তখন রেকর্ড খাতার খোঁজ পড়ে। নয়তো প্রতি মৌসুমে বড় বড় জয় পাওয়া দলগুলোর পাঁচ গোল খাওয়ার হিসেবই বা কে রাখে। যুগে যুগে দু-একটা ম্যাচ অবশ্য ফিরে আসে। রেকর্ডবুকের ধুলো ঝাড়তে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে বার্সেলোনার বিপক্ষে বায়ার্নের ম্যাচটিও তেমনই।

পর্তুগালের লিসবনে নিরপেক্ষ এবং দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলের লজ্জায় ডুবিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। কাতালানদের স্বাদ দিয়েছে ঐতিহাসিক পরাজয়ের। এক-দুই দশক কিংবা যুগ নয়, ছয় যুগের বেশি সময় পরে এমন হারের স্বাদ পেয়েছে বার্সা। মেসি-সুয়ারেজরা মাঠে থেকে সে হারের সাক্ষী হয়েছেন। বার্সাকে হারটা ‘উপহার’ দিয়েছেন মৌসুমের মাঝে দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কিকে সেতিয়েন।

বার্সেলোনা ১৯৭৫ সালের পরে এই প্রথম ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে এক ম্যাচে পাঁচ গোল হজম করেছে। ৪৫ বছর আগের ওই ম্যাচে বুলগেরিয়ার লেভিস্কি সোফিয়ার বিপক্ষে ৫-৪ গোলে হেরেছিল বার্সা। তখনকার বার্সা নিঃসন্দেহে আজকের বার্সা ছিল না। আর হারটা বড় হলেও লজ্জাটা ছিল কম। কারণ বার্সার চারটি গোল দেওয়ার কৃতিত্বও ছিল। এবার কি-না বার্সা হারল ৮-২ গোলে!

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার বড় হারের সন্দান করলে ফিরে যেতে হবে ছয় যুগেরও বেশি আগে। ১৯৪৬ সালে, এখন থেকে ৭৪ বছর আগে সেভিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের শেষ ষোলোয় ৮-০ গোলে হেরেছিল বার্সা। এর আগে মেসিরা ২০১৩ সালে বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে হেরেছিল ৭-০ গোলে। সম্প্রতি বছরগুলোতে চ্যাম্পিয়নস লিগে লজ্জার বিদায়ে  বার্সা অবশ্য অভ্যাস্ত হয়ে গেছে। সর্বশেষ দুই মৌসুমে রোমা এবং লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচই তার প্রমাণ।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: