রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন

কী ঘটেছে জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজে

মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ জলদস্যুর কবলে পড়েছে। বর্তমানে জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা আটক করে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।

জিম্মি এক নাবিক জানিয়েছেন, জাহাজটিকে সোমালিয়ার দিকে নেওয়া হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সোমালিয়ান উপকূল থেকে জাহাজটি ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।

জাহাজে থাকা ওই নাবিক আরও জানান, প্রায় শতাধিক জলদস্যু ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি বলে জানান ওই নাবিক।

জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওই নাবিক জানান, বাংলাদেশি নাবিকদের একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাপ্টেনকে দিয়ে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নেওয়া হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো দাবি করেনি বলেও জানান জিম্মি ওই নাবিক। জাহাজটির ২৩ নাবিক-ক্রুর সবাই বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রামের।

জানা যায়, ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি করা ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটি সাধারণ পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। তখন নিকেলবাহী ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়।

পরে নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা। এরপর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: