বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

বরগুনা সমুদ্র উপকূলীয় নদ-নদীতে নেই ইলিশ,জেলে পল্লীতে হাহাকার

মংচিন থান (বরগুনা) প্রতিনিধি : ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশের দেখা মিলছেনা। জেলেরা নদ-নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অথচ এখন ইলিশ মৌসুম হলেও সমুদ্রে তেমন একটা ইলিশ পড়ছেনা। ১০ থেকে ১২ জন জেলে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে একেকটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ স্বীকার করতে গিয়ে প্রায় খালি হাতে ফিরে আসছেন। পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ার কারনে জেলে পল্লী গুলোতে এক রকম হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।

বরগুনার তালতলীর জেলে পল্লীগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মৌসুম শুরু হলেও সমুদ্রে ও উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশ মাছ না পড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলেরা যেমন কষ্টে দিন পার করছেন তেমনি ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাড়রাও ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন। জেলেরা মাছ না পাওয়ায় নিত্যপণ্যের দোকানদাররাও সমস্যায় পড়েছেন। তাদের বেঁচা বিক্রিও কমে গেছে। আবার অনেক ফিশিং ট্রলার ইলিশ মাছ না পাওয়ায় সমুদ্রে মাছ ধরতে না গিয়ে ঘাটে অলস সময় কাটাচ্ছে। চলতি বছরের মৌসুম ছাড়া তালতলীর পায়রা (বুড়িশ্বর)নদীতে কিছু ইলিশ মাছ দেখা মিললেও এখন ভরা মৌসুমে ইলিশ নেই বললেই চলে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় জেলেরা একরকম খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করেছেন। এখন আবার ইলিশ মৌসুমে সমুদ্রে ও নদ-নদীতে মাছ না থাকায় তালতলী উপজেলার নিন্দ্রা, ইদুর পাড়া, আমখোলা, ছকিনা, নলবুনিয়া, জয়ালভাঙ্গা, ফকিরহাট, চরপাড়া জেলে পল্লীগুলোতে হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।

নিশানবাড়িয়া নামিশেপাড়ার জেলে মোঃ বাসার বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে। ইলিশ মাছ না পড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলেরা যেমন কষ্টে দিন পার করছেন তেমনি পর্যাপ্ত ইলিশ না পাওয়ার কারনে জেলে পল্লীগুলোতে এক রকম হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।

তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি ও সোনাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী মুঠোফোনে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার মালিকরা মোটা অংকের টাকা খরচ করে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ আহরোন করতে জেলেদের পাঠিয়ে খরচের টাকাও উঠতে পারছেন না। ভরা মৌসুমে বর্তমানে যেভাবে সমুদ্র ও উপকূলীয় নদ-নদীতে ইলিশের আকাল পড়েছে তাতে ফিশিং ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাড়দের ধার-দেনায় জড়িয়ে পড়ে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: