শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ, ঝুঁকিমুক্ত নন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালে আসার সময়ে অসুস্থ বোধ করলেও এখন ভালো আছেন। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকরাও একই দাবি করেছেন। তবে চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস বলছেন ভিন্ন কথা। তাকে উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টা কঠিন সময় পার করেছেন ট্রাম্প। সামনের ৪৮ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন।

 

শুক্রবার মৃদু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় টন মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সমর্থকদের পাশাপাশি তার তার শারীরিক অবস্থা জানতে উৎকণ্ঠিত গোটা বিশ্ব।

তবে শনিবার সবাইকে আশ্বস্ত করে ট্রাম্প টুইটারে জানান, হাসপাতালে আসার সময় অসুস্থ থাকলেও এখন আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন তিনি।

একইদিন ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক শন কনলি বলেন, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পকে অক্সিজেন দিতে হয়নি এবং অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে চিকিৎসকের এ বক্তেব্যের কিছুক্ষণ পরেই হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোসের বক্তব্যে ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ওয়াল্টার রিড হাসপাতাল প্রাঙ্গনে মিডোস সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৪ ঘণ্টা প্রেসিডেন্টের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক ছিল। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা তার চিকিৎসার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে। এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থতার পথে নেই।

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু এবং দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই মহামারিকে ট্রাম্প ততোটা গুরুত্ব দেননি। ৩ নভেম্বর ভোট সামনে রেখে গত কয়েক সপ্তাহে নিয়মিতভাবে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি সফর করে আসছিলেন।

সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকরা যেখানে মাস্ক ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন, সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে মাস্ক পরতে অনাগ্রহ দেখিয়ে এসেছেন, এমনকি যারা মাস্ক পরছেন, তাদেরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি।

শন কনলি জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে ইতোমধ্যে রেমডেসিভিরের পাঁচ দিনের কোর্সের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে রেজেনেরন ফার্মাসিটিক্যালের পরিক্লোনল অ্যান্ডিবডি ককটেল (REGN-Cov2) দেওয়া হয়েছে। ওই ওষুধটি শরীরে ভাইরাসের বিস্তার হ্রাস করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করে। পাশাপাশি জিংক, ভিটামিন ডি, ফ্যামোটিডিন, মেলাটোনিন ও অ্যাসপিরিন দেওয়া হচ্ছে ট্রাম্পকে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক টুইটে নিজের এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের (৫০) করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বয়স ও ওজনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন তিনি।

 


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: