বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

দিব্যসত্তা সন্ধানে : আজমাইন ফায়েক আবির

এই পৃথিবীর আলো আমি ঝাপসা দেখি চোখে
ঐশ্বরিক গন্ধ যত ভেসে আসে ভারে
দিব্য জ্ঞানের দাবিদার ঐ সাধু-ঋষিরা
নান্দনিকতার ভেল্কি দেখান-
প্রকৃতির নিয়ম সব চাপা পড়ে থাকে অগোচরে,
আধ্যাত্মিকতা যদি ইন্দ্রিয় গোচর নাহি হয়
তবে কোন্ সাধনা দ্বারা তা বুৎপ্রাপ্তি ?
সব মায়াজাল-
আর একনিষ্ঠ চালাকির মনোনিবেশ,
ভ্রমের ধুপ জ্বালিয়ে যারা সৃষ্টি করে ধুম্র জালের ধোঁয়া
একেকটা মস্ত বড় বাটপার!
ভ্রান্তির কায়ায় ফেলে আমাদের তারা আধ্যাত্মিকতার দাবিদার,
দৈবশক্তির সাথে তাদের নেই কোনো যোগাযোগ-
আপন মূর্খতাই তাদের বানিয়েছে পরাক্রমশালী বাবা,
না হলে চিন্তা করে দেখো-
তোমারও রয়েছে দিব্য জ্ঞান পাবার রিপু
তবে, তুমি কেনো পাও না ঈশ্বর কে আবৃত সকল পর্দা দেখিতে?
পরম সত্তার অস্তিত্ব পেতে কোনো বিশেষ বাবা কিংবা ইন্দ্রিয় নয়
বরং আপন অন্তরে দৃঢ় ইমান আর ইন্দ্রিয়ে স্বচ্ছতা জমাতে হয়
একবার বিশ্বাসী হলে অন্তরচক্ষু যায় খুলে-
ঈশ্বর বলেন আমি তো আছি চারিপাশে
কই, কোনোদিন দেখতে চাইলে না কুসংস্কার ভুলে!
প্রকৃতি আলো নিভিয়ে দিলে-
পৃথিবী বড় অন্ধকার,
তবু তুমি পরম সত্তার সন্ধান পাবে
যদি পাপাচার ছেড়ে ফিরে আসো অসংখ্য কোণাকার এ জগতে।
মনে যখন পুরঁজনের উপস্থিতির আত্মোপলব্ধি আসে,
তখন ঐ পরম সত্তা সমেত-
পৃথিবীর আলো আমি পরিষ্কার দেখি চোখে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: