শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তরা ঘর আগুনে পুড়ে দিয়েছে, ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মাসিক মোট মজুরি শহরে ১৭৭২০ গ্রামে ১৬২৪০ টাকার সুপারিশ

নিউজ ডেস্ক :: নির্মাণ ও কাঠ শিল্প শ্রমিকের নিম্নতম মাসিক মোট মজুরি শহরে ১৭ হাজার ৭২০ টাকা ও গ্রামাঞ্চলে ১৬ হাজার ২৪০ টাকা নির্ধারণের খসড়া সুপারিশ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, নির্মাণ ও কাঠ শিল্প খাতের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা সর্বশেষ হয় ২০১২ সালে। এরপর কেটে গেছে পাঁচ বছরেরও বেশি সময়। যদিও প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী পাঁচ বছর পর কাঠামো পর্যালোচনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চলতি বছর ২৫ মার্চ নির্মাণ ও কাঠ শিল্প খাতের শ্রমিকের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনায় বোর্ড সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

সদস্যদের নাম ঘোষণার পর নিম্নতম মজুরি বোর্ড নিম্নতম মজুরি হার সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একাধিক সভার আয়োজন করে। মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বয়ে শ্রমিকদের জীবনযাপন ব্যয়, মান, উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, কাজের ধরন, ঝুঁকি ও মান, ব্যবসায়িক সামর্থ্য, দেশের এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।

বোর্ড গঠনের সাত মাস পর চলতি মাসের ১৫ নভেম্বর নির্মাণ ও কাঠ শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি হারের খসড়া সুপারিশ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে। যেখানে সর্বনিম্ন বা ৬ নং গ্রেডের শ্রমিকদের মাসিক মোট মজুরি শহর অঞ্চলে ১৭ হাজার ৭২০ টাকা এবং গ্রামাঞ্চলে ১৬ হাজার ২৪০ টাকার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সর্বশেষ পর্যালোচনায় শ্রমিকের মাসিক মোট মজুরি হার ছিল ৯ হাজার ৯৮২ দশমিক ৫০ টাকা। মূল মজুরি ছিল ৬ হাজার ৯৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ভাতা ২ হাজার ৪৩২ দশমিক ৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৮০০ এবং যাতায়াত ভাতা ২০০ টাকা। দৈনিক মজুরি হার ছিল ৩৭৫ টাকা।

গত ১৫ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, নতুন কাঠামো অনুযায়ী ৬ নং গ্রেডে শহরাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকরা দৈনিক পাবেন ৬৮০ টাকা, আর গ্রামাঞ্চলে কর্মরত শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পাবেন ৬২০ টাকা। শহরে কর্মরত নির্মাণ ও কাঠ শিল্প শ্রমিকের মূল মজুরি ১১ হাজার ৮০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ভাতা ৪ হাজার ৭২০, চিকিৎসা ভাতা ৮০০ ও যাতায়াত ভাতা ৪০০ টাকার সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে গ্রামে কর্মরত ৬ নং গ্রেডের শ্রমিকের মূল মজুরি ১১ হাজার ৮০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ভাতা ৩ হাজার ৫৪০, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ ও যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকার সুপারিশ করেছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড।

নির্মাণ ও কাঠ শিল্প খাতের শ্রমিকদের গ্রেড রয়েছে মোট ছয়টি। ১ নং গ্রেডে শ্রমিকদের পদ আছে দুটি, মোজাইক মিস্ত্রি ও টাইলস মিস্ত্রি। এই গ্রেডের শ্রমিকের মাসিক মোট মজুরি শহরে ২৮ হাজার ৭৮০ টাকা, দৈনিক মজুরি হার ১ হাজার ১০৫ টাকা। আর গ্রামে কর্মরত মোজাইক ও টাইলস মিস্ত্রির মোট মজুরি ২৬ হাজার ৫১০ টাকা এবং দৈনিক মজুরি হার ১ হাজার ২০ টাকা।

২ নং গ্রেডে শ্রমিকদের পদ রয়েছে তিনটি। এগুলো হলো স্যানিটারি, প্লাম্বার ও থাই অ্যালুমিনিয়াম মিস্ত্রি। তাদের মোট মজুরি শহরে ২৬ হাজার ৬৮০ টাকা এবং দৈনিক হার ১ হাজার ২০ টাকা। গ্রামে কর্মরত স্যানিটারি, প্লাম্বার এবং থাই অ্যালুমিনিয়াম মিস্ত্রিরা পাবেন মাসে মোট ২৪ হাজার ৫৬০ এবং দৈনিক হার ৯৪০ টাকা।

৩ নং গ্রেডে শ্রমিকদের পদ আছে সাতটি। পদগুলো হলো রাজ, রড, কাঠ, ইলেকট্রিক, রঙ-পালিশ, সহকারী মোজাইক এবং সহকারী টাইলস মিস্ত্রি। গ্রেড-৪-এ শ্রমিকদের পদ আছে তিনটি। পদগুলোর মধ্যে আছে সহকারী স্যানিটারি, সহকারী প্লাম্বার এবং সহকারী থাই অ্যালুমিনিয়াম মিস্ত্রি। গ্রেড-৫-এর শ্রমিকদের পাঁচটি পদের মধ্যে আছে সহকারী রাজ, রড, কাঠ, ইলেকট্রিক এবং রঙ-পালিশ মিস্ত্রি। গ্রেড-৬-এ কর্মরত শ্রমিকদের পদের মধ্যে আছে জোগালী বা লেবার। এছাড়া আছে শিক্ষানবিশ শ্রমিকের মজুরির বিষয়েও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়। সময় বৃদ্ধি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ছয় শিক্ষানবিশকালে শ্রমিকরা মোট মজুরি পাবেন ১০ হাজার টাকা, দৈনিক মজুরি হার ৫০০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রকাশের ১৪ দিনের মধ্যে কোনো আপত্তি বা সুপারিশ উপাত্তসহ লিখিতভাবে নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যানকে পাঠানো যাবে, যা বিবেচনার পর মজুরি বোর্ড সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবে। নির্মাণ ও কাঠ শিল্পের নতুন কাঠামো অনুসরণে শ্রমিক বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধিসংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে সুপারিশে উল্লিখিত নিম্নতম মজুরি সমন্বয় করে এক বছর কর্মরত থাকার পর শ্রমিকদের মূল মজুরির ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ভিত্তিতে মজুরি বৃদ্ধি পাবে। পরবর্তী বছর ক্রমবর্ধমান হারে পুনরায় মূল মজুরির ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: