শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম
ঈদে ১৪ টি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে প্রিন্স খানের চাটখিলে পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখলে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তপ্তদেহ শীতল করতো গাছের নিচে বসেই, গাছ না থাকায় এত গরম সরকার হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে বদ্ধপরিকর-ধর্মমন্ত্রী দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজের সাথে যারাই জড়িত, তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী – আনু মুহাম্মদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী

বিজয়ের ৪৯ বছর,ইতিহাস ও আমাদের অগ্রযাত্রা – শেখ মাজেদুল হক

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল লাখো-কোটি বাঙ্গালির বহুদিনের লালিত স্বপ্ন লাল সবুজের সোনার বাংলা। এ যেন এক অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ! ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সেই অনবদ্য কালজয়ী ভাষণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক এই মহাকাব্যের মূল বীজবপন করেছিলেন ইতিহাসের অমর সৃষ্টি, টুঙ্গিপাড়ার সবুজ চত্বরের পূণ্যভূমি থেকে বেড়ে উঠা বাঙ্গালি জাতির মুক্তির ত্রাণকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে থেকেও যিনি একটুও মনোবল হারাননি,বরং আরো উজ্জীবীত হয়েছেন বাঙ্গালি জাতির এই মহানায়ক। অত্যন্ত সাহসী, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী এই বীর সৈনিক ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে কারাবন্দীর পূর্বে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন।কারণ বঙ্গবন্ধুর মনে প্রবল আত্নবিশ্বাস ছিল যে তীব্র আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়েই একদিন সকল প্রকার বৈষম্য,শোষণ,নিপীড়ন ও নির্যাতন থেকে বাঙ্গালি জাতির মুক্তি আসবে।

আর দূরদর্শী এই বীরের অসম সাহসিক ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে,দীর্ঘ নয়মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত হল কোটি বাঙ্গালির আবেগ আর ভালবাসার লাল সবুজের বাংলাদেশ। ২০২০ সালের আজকের এই দিনে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই ৩০ লাখ বীর শহীদ ও দুই লাখ মাবোনকে যাদের মহান আত্নত্যাগ আর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে লাল সবুজের এই পতাকা। সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙ্গালি জাতি প্রতিটি শোষণ, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে বার বার প্রমাণ করেছে আমরা সত্যিকার অর্থেই বীরের জাতি।

আর স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদানের কথা কবি অন্নদাশংকর রায়ের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, “যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। “ইতিহাসের আরেক মহানায়ক ফিদেল ক্যাস্ত্রো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি’। বর্তমানে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন,জননেত্রী শেখ হাসিনা।

যার দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে সোনার বাংলাদেশ।বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থাকা সত্বেও বারবার জিডিপর উচ্চ প্রবৃদ্ধি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্ধা সেতুকে বাস্তবে রূপদান, মেট্রোরেল প্রকল্প, রুপপুর তাপবিদ্যুত কেন্দ্র, রামপাল, ফ্লাইওভার, টানেলসহ অগণিত মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বহুল স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তিকে দমন করে সংবিধানে বর্ণিত চারটি মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র এগুলোকে সামনে রেখে সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এছাড়া রূপকল্প ২০৪১ ও ডেল্টা প্লান ২১০০ সহ আরো অনেক মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে মুজিব শতবর্ষকে করোনা মহামারীর কারণে তা ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বিজয়ের ৪৯ বছরে এসে কৃষকের ফসলের মাঠে শৈল্পিক শিল্পকর্মই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন, যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন কোটি কোটি বাঙ্গালির হৃদয়ে। এগিয়ে যাক বাঙ্গালি জাতি, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।

লেখক: শেখ মাজেদুল হক
সহযোগী অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: