বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

অতিরিক্ত সেশন ফি’তে ‘জিম্মি’ মধ্যবিত্ত পরিবার

 

বুধবার সকাল ১০টায় ধর্মঘট পালন করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন জেলা ট্রাকমালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ অতিরিক্ত সেশন ফি আদায় বন্ধ না হলে অভিভাবকদের নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন।

২০১৯ সালের ২ জুলাই মান্নান আকন্দের একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মন্ত্রণালয় প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত ভর্তি ও সেশন ফি আদায়ের নির্দেশ দেন। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দেওয়া ওই আদেশ কার্যকরের জন্য একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

একই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়ে রফিকুল ইসলাম ও জাহেদুর রহমান নামে দুই অভিভাবক গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দেশের সকল জেলায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন পূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের অনুরোধ জানিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি একটি চিঠি দেন।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ওই নির্দেশনা পাওয়ার পরেও বগুড়ার সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত ২ হাজার টাকার অতিরিক্ত সেশন ফি আদায় করছে। এতে অভিভাকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল ও কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফেরদৌস রহমান জানান, সেশন ফি নিয়ে কিছু বললে তারা বাচ্চাকে স্কুল থেকে বের করে নিয়ে যেতে বলে। এছাড়াও আমাদের অভিভাবকদের নূন্যতম কোন সম্মানও দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে কথা বললে নানাভাবে অপমানিত করেন। রীতিমতো জিম্মিদসার মতো অবস্থা।

৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক হেলেনা বেগম বলেন, প্রথমে সেশন ফি’র কথা বলে ২ হাজার, মাসিক বেতনের নামে ৯৫০ ও বাস ভাড়া বাবদ ৭০০ টাকা মিলিয়ে মোট ৩৬৫০ টাকা নিয়েছে। আবার ক্লাসে নোটিশ দিয়ে ৭ হাজার ৪২০ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছে। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষ এটা কখনও সম্ভব না।

বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ তার বক্তব্যে বলেন, আমি রাজনৈতিক দলের অংশ হওয়াতে অনেকে বলেছেন আমি ভবিষ্যতে নির্বাচন করবো। এ ইজন্য এগুলো করছি। তবে আমার কোন নির্বাচন করার ইচ্ছে নেই। আমার জীবনের যা কিছু অর্জন তা আমি করেছি। তাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি শিক্ষা বাণিজ্যর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবো।

তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমার ক্ষতি হবে, আমি জীবন দিবো, তবে কোন অভিভাবকে কোন ক্ষতি হতে দিব না। আমাদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথাতেও অবস্থান নিবো।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: