মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

জৈন্তাপুরের লাল শাপলায় মুগ্ধ পর্যটক

যত দূর চোখ যায়, কেবল শাপলা আর শাপলা। এর বেশির ভাগই লাল, আর মাঝে-মধ্যে আছে সাদা শাপলা। দূর থেকে মনে হয় যেন কেউ লাল গালিচা পেতে রেখেছে। অপরূপ এই দৃশ্য সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার বিল হিসাবে পরিচিত ডিবির হাওরের।

প্রায় হাজার একর জায়গার এই হাওরের ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাটা বিল ও কেন্দ্রী বিলে সারি সারি শাপলা দেখে প্রতিদিন মুগ্ধ হচ্ছেন অগণিত পর্যটক। নৌকায় দল বেঁধে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক বিল থেকে আরেক বিলে।

ঢাকা থেকে সপরিবারে সিলেটে বেড়াতে আসা মোস্তাফিজ পারভেজ বুধবার গিয়েছিলেন ডিবির হাওরের লাল শাপলা দেখতে। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সিলেটে প্রায়ই বেড়াতে আসি। এখানকার অনেক পর্যটনস্পটে একাধিকবার গিয়েছি। তবে এবারই প্রথম গেলাম লাল শাপলা দেখতে। সেখানে গিয়ে অভিভূত হয়েছি। আমার স্ত্রী-সন্তানরাও খুশি। এত এত শাপলা ফুটে আছে, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।’

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। পান-সুপারি, কমলা আর নানা জাতের লেবুর জন্য বিখ্যাত এই উপজেলা। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে এই ডিবির হাওরের অবস্থান। হাওরের ৪টি বিলে প্রাকৃতিকভাবে লাল শাপলা জন্মায়। শীতকালে বিলের পানি কিছুটা কমে আসলে শাপলা গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশিরভেজা শাপলাগুলোকে আরও বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়। আর এ কারণে লাল শাপলা দেখতে যাওয়া পর্যটকরা সকালেই সেখানে ছুটে যান। গত কয়েক দিন ধরে ডিবির হাওরে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। শাপলার পাশাপাশি এই হাওরে দেশি-বিদেশি অনেক পাখিরও দেখা মেলে। পাখির কিচিরমিচিরে মন জুড়ায় পর্যটকের।

স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিফ জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তি ডিবির হাওরের জমি দখলে নিতে তৎপর রয়েছে। তারা হাওরে মহিষ নামিয়ে শাপলা গাছগুলো নষ্ট করছে। কিছুদিন আগে বিলের একটি অংশের পানি সেচে মাছ ধরেছে। এই চক্র শাপলা ধ্বংস করে হাওরে কৃষি ও মাছ শিকার করতে চায়। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যাতে সম্ভাবনাময় এই পর্যটনস্পট সুরক্ষিত থাকে


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: