মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক :: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)-এর শিক্ষকরা বার বার শিক্ষার্থীদের কাছে গেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘কিন্তু শিক্ষকদের বার্তা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায়নি। আমরা চাই অনশন ভেঙে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসুক। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

শনিবার (২২ জানুুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর হেয়ার রোডে নিজ বাসভবনে শাবিপ্রবি-এর শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষক নেতারা কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমি তাদের সময় দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের আসার কথা ছিল। কিন্তু শুধু শিক্ষকরা এসেছেন। ক্যাম্পাসে পুলিশি অভিযান যেমন দুঃখজনক, তেমনি শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাও দুঃখজনক।’

দীপু মনি বলেন, ‘এ আন্দোলনে অন্য কারও ইন্ধন রয়েছে কি না, অন্য কারও হাত রয়েছে কি না, তা জানি না। আপনারা (সাংবাদিকরা) এটি খতিয়ে দেখতে পারেন।’

শাবির শিক্ষক প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসি কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মহিবুল আলম, ভৌত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন. খায়রুল ইসলাম রুবেল। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে শাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ দেখান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় আলোচনার মাধ্যমেও যেকোনো সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন। আমি চাই, তাদের একটি প্রতিনিধি দল যদি পাঠাতে পারেন। যত দ্রুত সম্ভব, তারা এলে আলোচনা করতে চাই। শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গেও একটু আলাপ করতে চাই।’

এর আগে, তিন দফা দাবি আদায়ে গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনায় দুই শ থেকে তিন শ অজ্ঞাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।

সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় ১৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অসুস্থ ১৭ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: