শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন

কুপ্রস্তাবে রাজি হননি গৃহবধূ, ছেলে-ভাতিজাকে ভঙ্ককর নির্যাতন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছেলেও ভাতিজাকে চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

গত ২২ মে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর হল- সুমন ও তার মামাতো ভাই কামরুল।

এরপর পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সুযোগ পেয়ে নির্যাতনের শিকার সুমনের মা সরিফা খাতুন গত শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী তার প্রতিবেশী সরিফা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও সাত জন মিলে সরিফা খাতুনের ছেলে সুমন ও তার ভাতিজা কামরুল ইসলামকে আটক করে।

এরপর তারা গ্রাম্য শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। শালিস বৈঠকে হাত-পা বেঁধে ওই দুই কিশোরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা।

সেই ফিল্মি নির্যাতন মোবাইলে ধারণ করে গৃহবধূ সরিফা খাতুনের কাছে ইউপি সদস্য প্রায় ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে ইউপি সদস্য গৃহবধূকে মারধর করে তার একটি গরু নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এটি খুবই নিন্দনীয় কাজ।

এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

এদিকে মামলা দায়েরে সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: