শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ওপর কাটাযুক্ত বোঝা

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র সমালোচনা করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের  নেতারা বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় আবারও জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো মানে নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে। যা সাধারণ জনগণের ওপর কাটাযুক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।’

আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বর্তমান আর্থিক সংকটে দায়িত্বশীল সরকার হলে জনগণের ঘাড়ের বোঝা কমানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু যেহেতু এই সরকার অনির্বাচিত, জনগণের মতামত ছাড়া ক্ষমতায় আছে সে কারণে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে তাদের কোনো নজর নেই।

বাম জোটের নেতারা আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে’ ‘ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে’-এসব কথা বলে দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ খাতে বড় ভর্তুকি যাচ্ছে বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অহেতুক টাকা দেওয়ার জন্য। গত ১২ বছরে এর জন্য দিতে হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার অধিকাংশ গেছে বিশেষ গোষ্ঠী আর কমিশন ভোগীদের পকেটে।

বিবৃতিতে নেতারা দাবি করেন, গণশুনানিতে বিইআরসি মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেনি অথচ দাম বাড়ানো হলো। এর মধ্য দিয়ে বিইআরসি নিজেকে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করে ফেলেছে। অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লুটপাট বন্ধ এবং ভুলনীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

বাম জোটের স্বমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক এই যুক্ত বিবৃতি দেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: