মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

কুঞ্জে-আজমাইন ফায়েক আবির

বকুল কুঞ্জে ঝড় উঠেছে
মাধবীলতা’র ঘ্রাণ
বক্ষে বজ্র, মনে প্রেম, মস্তকে তীব্র সন্তাপ দাহ
ঠাকুরের অভিমান!
পিঙ্গলাক্ষী সূর্যমুখী খসে পড়ছে একে একে
ধুর ছাই বাস্তব জীবন তো কবিতা নয়;
তবুও মরতে চলেছি পাতায় পাতায় – ধুঁকে ধুঁকে
মেনে নিয়েছি মৃত্যু!
প্রেম তবে কবে প্রলয় নৃত্য বোনে গেলো
খবর রেখেছো কী নাবিক?
প্রতিমা’র অন্তিম স্থান তো হয় জলে-
দেখাও দেখি ভক্তি প্রেমকে নিয়ে কে ডুবেছে কবে?
আমি তো রয়েছি অর্ধনিমজ্জিত রূপে;
দেবীর প্রতি তথাকথিত প্রেম নয় আমার
নয় ছোটোলকি
তুমি চিতায় পোড়ো কিংবা সায়রে ডুবো;
পাবে আমায় পদে পদে
খুব অসামাজিক প্রেমিক আমি, ভীষণ জেদি
হয় সেই অদুরে আঁচল দেবে, নয়তো বানিয়ে পড়বো
সেই আঁচলের’ই সুগন্ধি ফাঁসি
আমি ফেলে এসেছি পূর্ব পুরুষের অস্তিত্ব
ছেড়েছি তকমা কাফনের
ফেরবার পথ আমি চিনতে চাইনা; দোহাই তোমায় শ্রাবণের
দিব্যি আমার নামের
তোমার প্রসস্থ শীতল পিঠে চুমু দেবার অধিকার যেন
সমস্ত জীবন কেবল আমার থাকে!
খুব সামান্য চেয়েছি বুঝি?
তবে চাইনি তোমার স্বভাবের অগোচরে
চাইছি দেবীর চরণ তলে ক্ষুদ্র চিরস্থায়ী স্থান, সামান্য চরণ ধুলি
দেখো প্রেম আমায় তোমার বুক হতে চরণে নামিয়ে দিল
তবু ইগো বিসর্জনে; প্রতিমা’র সাথে আমি সলিল সমাধি পেতে রাজি
কেবল ঠাকুর তুমি অভিমান ভেঙে-
দুহস্ত প্রসারণে আশির্বাদের বাণী শেষ মাঘের বর্ষনে দিও
প্রতিমা- প্রেমিকের সংসার না হলে কবিতার প্রাণ কেড়ে নিও
খুব স্বাভাবিক নিয়মে, স্বাভাবিক মৃত্যু বলবে যা লোকে
ঐ প্রতিমা তুমি;
আর প্রেমিক সঙ্গে কবিতা আমি
সযত্নে বুকে রেখে দিও!


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: