সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

শেকৃবিতে ভিসির দায়িত্বে রেজিস্ট্রার : নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিবাদ

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শেকৃবি) উপাচার্যের মেয়াদ পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্বে উপাচার্যের পদাধিকার দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ড. মো. মফিজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় তাঁরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ হতে (স্মারক নং৩৭.০০.০০০০.১১৮.৯৯.১১১.০২.১৬৪) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে (বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম) চলতি দায়িত্বে উপাচার্যের পদ প্রদানের আদেশ জারি করা হয়। আমরা জানি যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার প্রাণকেন্দ্র ও জাতির আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে যার মূল কাজ জ্ঞানের সৃজন ও জ্ঞান বিতরণ। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও নীতিমালার আলোকে একজন প্রতিথযশা অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন, যার দক্ষ নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধি হয়।

তাই আমরা মনে করি শেখ রেজাউল করিম একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ার উচ্চশিক্ষা ভিত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও নীতিমালার সাথে এই নিয়োগ সাংঘর্ষিক। আমরা নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এই নিয়োগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও উচ্চশিক্ষার মানবৃদ্ধিকল্পে এই নিয়োগাদেশ প্রত্যাহার করে নেবার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানাই। সেই সাথে সাথে একজন প্রতিথযশা অধ্যাপককে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আশা করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অন্যকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ব্যাতিত অন্য কাউকে যেন উপাচার্যের পদে বা উপাচার্যের চলতি দায়িত্বেও আসীন না করা হয়। এবিষয়ে আমরা নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সদস্যবৃন্দ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: