বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

দেশে খালি পড়ে আছে বন বিভাগেরই হাজার হাজার একর জমি

বিশেষ প্রতিনিধি :: পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নে বটতলী বিটের অন্তর্ভূক্ত বানিয়াপুরা শেঁকবাঁধা এবং বটতলী মৌজার প্রায় ৪৫০ একর জমি যুগ যুগ ধরে পতিত রয়েছে। বিশাল এই জায়গায় কোনো গাছ ও ফসল নেই।

অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনায় সহজেই এই জায়গায় হাজার হাজার টন কাজুবাদাম এবং কফি উৎপানের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে মোটা অংকের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এছাড়া কাজুবাদাম ও কফির সাথী ফসল হিসেবে, আদা, হলুদ, রসুন, পিঁয়াজ, মিষ্টি আলু, কাউন, সয়াবিন, ক্যাপসিকাম, ব্রকলী, ঢেমশিসহ আরও অনেক ধরণের নামী দামী ফসল উৎপাদন করা যায় এতে এইসব ফসলের আমদানি কমিয়েও অনেক বড় অংকের বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় হবে। যা দেশের দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারে।

প্রায় ১৫ বছর আগে ওই জমিতে আবাদ করার জন্য ইজারা চেয়ে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। জবাবে মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে এবং ইজারা দেয়ার বিধান নেই’। পতিত হয়ে পড়ে থাকে ওই জমি। এভাবে সারাদেশে বন বিভাগের হাজার হাজার একর জমি বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ফেলে রাখা হয়েছে।
এসব বিষয জানিয়ে ওইসব জমিতে অপার সম্ভাবনার কাজুবাদাম ও কফি’র সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য উচ্চমূল্যের ফসলচাষে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের ইজারা দেওয়ার জন্য গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্যাসো ইন্ডাস্টিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিনাজপুরের ডিএফও বলেন, ওই জমি রয়েছে ভেস্টেড ফরেস্ট এর আওতায়। ১৯৫৯ সালের প্রাইভেট ফরেস্ট অর্ডিনেন্সের আলোকে ১৯৬১, ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে ওই জমি ভেস্টেড করার ঘোষানা হয়। একসময় ওই জমির কিছু অংশে সালবন, কিছু এলাকায় সামাজিক বন এবং কিছু জমি পতিত ছিলো।

২০০০ সালের আগে বিশেষ করে এরশাদের আমলে ওই জমির গাছ উজাড় হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কোনো কোনো ব্যাক্তি ও গোষ্ঠি ওই জমি দখলের চেষ্টা চালায়। কিছুদিন আগে ডোমারের একদল লোক ওই জমি দখলের চেষ্টা চালায়।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: