শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

কারখানা-দোকান বন্ধ কর, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কর : ৮টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কারখানা-দোকান বন্ধ কর, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এর দাবি করেছে ৮টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, কারখানা-ব্যবসা খুলে দেয়া নয় বরং, করোনায় সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অন্তত আড়াই কোটি দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের পূর্ণ ভরণ-পোষণের ব্যবস্থাসহ দেশজুড়ে পরিপূর্ণ লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে।

তারা রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ফ্যাসিবাদী কালা কানুনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এর দাবি করেন।

আজ ১২ মে’২০ মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে গণমুক্তি ইউনিয়নের আহবায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব)-এর আহ্বয়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার মুর্শেদ, কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহবায়ক ইমাম গাজ্জালী, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, শ্রমজীবী সংঘের সভাপতি আব্দুল আলী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ হোসেন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান।

যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, করোনাসংক্রমণের ঊর্ধ্বমূখী অবস্থায় সরকার কলকারখানা, মসজিদ, দোকানপাট, বন্দর খুলে দিয়েছে। ফলে, তারপর থেকে করোনাসংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনাদুর্যোগের শুরুতেই বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রীদের কথায় উঠে এসেছে, তারপরও আন্তর্জাতিক বাজার ধরতেই সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থাৎ, অতিধনীদের ব্যবসা ও মুনাফা সচল রাখতেই এ সিদ্ধান্ত।

যেখানে করোনাসংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকারের দায়িত্ব ছিল- প্রায় ছয় কোটি মানুষ বা দুই-আড়াই কোটি পরিবারকে সরাসরি খাবার সরবরাহসহ ব্যয়ভার গ্রহণ ও পরিপুর্ণ লকডাউন বাস্তবায়ন করা। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে আড়াইকোটি পরিবারসহ আরো অনেকের দায়িত্ব নেবার আর্থিক সামর্থ ও সুযোগ থাকলেও সেদিকে না গিয়ে সরকার কারখানা-ব্যবসা খোলার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শ্রমজীবী গরীব জনগণকে করোনায় গণসংক্রমণের সুযোগ তৈরী করেছে। অনেক মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। করোণাসংক্রমণের দায় জনগণের উপরই চাপানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নেতৃবন্দ বলেন, আমরা এ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে সংবেদনশীলতার সাথে দরিদ্র শ্রমজীবী জনগণের দায়িত্ব গ্রহণ ও করোনাসংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পুর্ণ লকডাউন বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা বলেন, অন্যদিকে আমরা ক্ষোভের সাথে আরো লক্ষ্য করছি, যেখানে জনগণকে রক্ষায় এ দুর্যোগকালে দুর্ভোগ-দুর্দশার কথা যাতে তুলে ধরতে পারেন সেজন্য জনগণের কথা বলার মাধ্যম ও সুযোগ আরো অবারিত করা দরকার। সেখানে, সরকার ন্যক্কারজনকভাবে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করছে। যে বা যারাই সরকারের সমালোচনা করছে তাদেরকে গুম, অপহরণ বা আইনের তোয়াক্কা না করে আটক করা হচ্ছে। এভাবে ত্রাসের আবহ তৈরী করা হয়েছে যাতে জনগণের মত প্রকাশকে রুদ্ধ করা যায়। সরকার ও তার পদক্ষেপের গণবিরোধী চরিত্র ও ব্যর্থতাকে যাতে আড়াল করা যায়। এজন্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তির মত প্রকাশের অধিকার হরণ ও গণদমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

তারা, অবিলম্বে এসব ফ্যাসিবাদী তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানান। অবিলম্বে রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ফ্যাসিবাদী কালা কানুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবী করেন।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: