শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

সেতু নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে দুদকের অভিযান

নিউজ ডেস্ক :: দুর্নীতি দমন কমিশনের হেল্প লাইন (১০৬) ও অন্যান্য মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারাদেশে মোট আটটি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে সংস্থাটির জনসংযোগ শাখা জানানো হয়েছে।

অভিযোগগুলোর মধ্যে পটুয়াখালীতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সেতু নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান চালায় দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুসাইনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় দুদক টিম সরেজমিনে সেই সেতু পরিদর্শন করেন ও অনিয়ম সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেন। দুদক টিম প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরই মধ্যে ঠিকাদারকে নিজ খরচে গার্ডার অপসারণ করে সম্পূর্ণ সেতুর নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করার নির্দেশনা দেয় দুদক।

এ ব্যাপারে পরে আরও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা না দিয়ে আত্মসাৎ; ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গ্রাহকের জমি খারিজ; প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধভাবে দখল; ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের বিরুদ্ধে ভুয়া মৃত্যুসনদ তৈরি করে বিধবা ভাতা উত্তোলন; ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া চাল আত্মসাৎ; ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নদী খনন প্রকল্পের কাজে নদী হতে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেসব এলাকার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: