শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু ১ নভেম্বর

নিউজ ডেস্ক :: ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের ১ পহেলা নভেম্বর থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুতই সারা দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেয়া হবে। পহেলা নভেম্বর থেকে ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে এবং ঢাকার বাইরের ২১টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।’

জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ সভা শেষে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা দেয়ার জন্য কেন্দ্র বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী যেসব স্থানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা নেই সেখানে দ্রুততার সঙ্গে শীতাতপ সুবিধা তৈরি করার পাশাপাশি ঢাকায় টিকা কেন্দ্র বৃদ্ধি করাসহ দেশের সব জেলাতেই ক্রমান্বয়ে টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”

জাহিদ মালেক বলেন, “১২-১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। ফাইজারের টিকা দেয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। এজন্য দেশের সব জেলাতেই ক্রমান্বয়ে প্রয়োজন মতো শীতাতপ ব্যবস্থা ঠিক করে দেশব্যাপী ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেবার কাজ শুরু করা হবে।”

ফাইজারের টিকা হাতে পর্যাপ্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী নভেম্বর মাসে আরো ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে আসবে।”

দেশে বর্তমানে টিকার কোন সংকট নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বুধবার ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টায় চীনের সিনোফার্মের আরো ৫৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। এ নিয়ে এখন আমাদের হাতে প্রায় ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। আগামীতেও এভাবেই টিকা আসতে থাকবে বলে আশা করছি। কাজেই, ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাদানের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ পূরণ করা সম্ভব হবে।”

তিনি জানান, ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেবার পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষদের জন্যও টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক টিকা নেওয়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১২০ স্কুলশিক্ষার্থী সুস্থ আছে। ওই শিক্ষার্থীদের কারও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারা এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং সবাই ভালো আছে।

দেশে কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ শুরুর আট মাস পর স্কুল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর সারাদশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

অপরদিকে, বুধবার স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এসএ/


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: