শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম
চৌদ্দগ্রামে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ, প্রখর রোদে মুসল্লিদের কান্না হাতিয়ায় সৈকতে দেখা মিলল ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’ ফসলি জমি কেটে মাটির ব্যবসা: ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই লাখ টাকা জরিমানা মাটি ব্যবসায়ীর লাখ টাকা জরিমানা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে কুমিল্লার মফিজুর রহমান বাবলু সিনেমা হলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেশে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিবনগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

বৈশ্বিক সংকটে একত্রে কাজ করবে ঢাকা

নিউজ ডেস্ক :: বৈশ্বিক সংকটে দিল্লির সঙ্গে একত্রে কাজ করবে ঢাকা। এ লক্ষ্যে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কীভাবে সহযোগিতা জোরদার করা যায় তা খুঁজে বের করার প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের ওপর পড়ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংকট মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আসন্ন ভারত সফরকালে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এশিয়ার কনফ্লোয়েন্স রিভার কনক্লেভ ২০২২ শীর্ষক নদীসংক্রান্ত সম্মেলনে অংশ নিতে ২৮ ও ২৯ মে আসামের গোয়াহাটি যাচ্ছেন। দুটি থিঙ্কট্যাঙ্ক-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিস এবং এশিয়ান কনফ্লোয়েন্স যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করেছে। এই সম্মেলনে আয়োজকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্করকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সৌজন্যমূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর ৩০ মে দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন’ (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দেবেন। জেসিসির এটা সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করতে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে জেসিসি গঠিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে এবারের জেসিসি বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাইয়ে ভারত সফর করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মহামারির ফলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে সহযোগিতার বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে। এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও যোগাযোগ কোভিডের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার বিষয় আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃষ্ট সংকট নিরসনে দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয়। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের এজেন্ডা নির্ধারিত হতে পারে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘সফরের সবকিছু এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের কারণে আমরা সবাই সমস্যায় আছি। কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায় সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একযোগে কাজ করলে তা অবশ্যই মঙ্গলজনক হবে। বিশেষ করে সরবরাহ ব্যবস্থার বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় সহযোগিতা জরুরি।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ, পানি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয় জেসিসি বৈঠকে আলোচনা হবে।’ ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত বাণিজ্যিক গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। যেসব লেটার অব ক্রেডিট ইতোমধ্যে ইস্যু হয়েছে তাদের গম ছাড় দেওয়া হবে।’

পিকে হালদারকে ফেরত আনা নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে আগে।

তারপর ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে অগ্রসর হতে হবে।’ ভারতীয় ঋণের ব্যাপারে কোনো পর্যালোচনা করা হবে কিনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ঋণে ভালো ছাড় হয়েছে। এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ছাড় হয়েছে। তবে বিষয়টি অবশ্যই পর্যালোচনা করা হবে।’

প্রস্তাবিত কম্প্রেহেনসিভ বাণিজ্য চুক্তি সিপার অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এবং ভারতের একটি সংস্থা মিলে যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন এগুলো পর্যালোচনা করে দেখব চুক্তি করব কিনা’।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: