শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে- সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগ হাতিয়ার উন্নয়নে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিকে কাজে লাগানো হবে – মোহাম্মদ আলী এমপি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৯ বছর পর জমি ফিরে পেলেন যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার শিবালয়ে ১৫তম  মাই টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে- ধর্মমন্ত্রী উজিরপুরে সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত শিবালয়ে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিবাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড ঈদের দিনে সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ঝরল ৫ প্রাণ সৌদির সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর ৪ গ্রামে ঈদ উদযাপন

মেডিকেল অফিসারবিহীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র: অবিলম্বে নিয়োগ দেওয়া হোক

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা কী, তা জানতে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) এক গবেষণা পরিচালনা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাটি করতে দেশের ১২৮টি সংস্থা এবং ৩ হাজার ৪২০ ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও জনবল সংকটের কারণে সেসব কেন্দ্রে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি দেশের ৫০টি জেলায় পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই মেডিকেল অফিসার। দুটি জেলায় থাকলেও তারা অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

এ ছাড়া ৫টি উপজেলায় কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে না। এমনকি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিও বাস্তবায়িত হচ্ছে না এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সবচেয়ে বড় কথা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রতি মাসে একবার স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা অনুষ্ঠানের নিয়ম থাকলেও এসব কেন্দ্রে এ ধরনের কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয় না। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত নন।

প্রান্তিক এলাকার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় যে অব্যবস্থা ও অনিয়ম চলছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য নিপোর্ট কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে-জনগণের স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ, জনবল ইত্যাদি নিশ্চিত করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগই পারে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে।

আমরা মনে করি, এই সুপারিশ যথার্থ। এখন থেকে উল্লেখিত দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হবে জেলা-উপাজেলা-পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় জনবলের যে সংকট রয়েছে, তা দূর করা এবং নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম মনিটর করা। বলা বাহুল্য, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোয় সাধারণত গরিব, খেটে খাওয়া মানুষ ও ভাসমান জনগোষ্ঠীই স্বাস্থ্যসেবা নিতে যায়।

কিন্তু সেখানে যদি মেডিকেল অফিসারই না থাকেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধার অভাব থাকে, তাহলে তারা স্বাস্থ্যসেবা পাবেন কীভাবে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না, তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা আশা করব, যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার নেই, সেসব কেন্দ্রে অবিলম্বে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিপোর্ট সংকট উত্তরণে যে সুপারিশ করেছে, তা-ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে আশা করতে চাই আমরা।


© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২০ বাঙলার জাগরণ
কারিগরি সহযোগিতায়: